Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Protest against abusive comment

কুরুচিকর মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় ‘হুমকি’ শিক্ষিকাকে

তিনি অভিযোগ করেন, বাসটি দুর্গাপুর থেকে ছাড়ার পরে তাঁর পিছনে বসে থাকা কয়েকজন যাত্রী জেএনইউ-তে পড়ুয়াদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করতে থাকেন।

—প্রতীকী চিত্র

—প্রতীকী চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২০ ০০:৫৪
Share: Save:

জেএনইউ-এর পড়ুয়াদের উপরে হামলা নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের প্রতিবাদ করতে গিয়ে হুমকির মুখে পড়ার অভিযোগ করলেন এক কলেজ শিক্ষিকা। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে লিখিত না নিয়ে মৌখিক অভিযোগ নেওয়া হয়েছে বলেও নালিশ ওই শিক্ষিকার। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশকর্তারা।

রানিগঞ্জের টিডিবি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা শঙ্খমালা রায় জানান, ৬ জানুয়ারি তিনি কলকাতা থেকে দূরপাল্লার বাসে রানিগঞ্জ আসছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, বাসটি দুর্গাপুর থেকে ছাড়ার পরে তাঁর পিছনে বসে থাকা কয়েকজন যাত্রী জেএনইউ-তে পড়ুয়াদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করতে থাকেন। কেন তাঁরা এমন মন্তব্য করছেন, তা জানতে চান তিনি। তার উত্তর না দিয়ে ওই যাত্রীরা দাবি করেন, তিনি নাটক করছেন।

শঙ্খমালার অভিযোগ, ‘‘এর পরে আমি রানিগঞ্জে উড়ালপুলে বাস থেকে নামি। রানিগঞ্জ মোড়ে হেঁটে বাস ধরতে যাচ্ছিলাম। তখন পিছন থেকে টোটোয় আসা এক জন আমাকে বলে, ‘পড়ুয়াদের মেরেছি, তোকেও মেরে ফেলব’। তার পরে পালিয়ে যায়। সে দিন কলেজে নিজের আবাসনে চলে যাই।” তিনি অভিযোগ করেন, ৮ জানুয়ারি রানিগঞ্জ থানায় গেলে তাঁর কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়নি। মৌখিক অভিযোগ জানাতে বলা হয়। তার ভিত্তিতে তাঁকে একটি ‘জেনারেল ডায়েরি’ নম্বর দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘‘থানা থেকে বলা হয়েছে, এর পরে আবার কোনও ঘটনা ঘটলে রানিগঞ্জ মোড়ে আমরাসোতা ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ করতে হবে।’’

শঙ্খমালার সহকর্মী সুস্মিতা দাসের ক্ষোভ, ‘‘গণতান্ত্রিক দেশে বাক্‌ স্বাধীনতা এ ভাবে বিপন্ন হবে কেন? যে কোনও জায়গায় যাতে নিরাপত্তার সঙ্গে মতামত পেশ করার স্বাধীনতা থাকে, প্রশাসন সেই ব্যবস্থা করুক।’’ তিনি দাবি করেন, ‘‘পুলিশ কুরুচিকর মন্তব্য নিয়ে কোনও কথা শুনতে চাইছিল না, তাতেই আমরা হতাশ।”

রানিগঞ্জের সিপিএম বিধায়ক রুনু দত্তের অভিযোগ, ‘‘ঘটনায় পরিষ্কার, এ রাজ্যেও বাক্‌ স্বাধীনতা বিপন্ন। প্রশাসনও নির্বিকার। থানায় মৌখিক অভিযোগ নেওয়া নিয়ম হতে পারে না। পুলিশ নিজের মতো করে অভিযোগটি সাজার জন্য এমন করেছে বলে মনে করছি।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির বক্তব্য, ‘‘এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে সঙ্গে-সঙ্গে অভিযোগ করা প্রয়োজন, যাতে অভিযুক্তদের তাড়াতাড়ি চিহ্নিত করা যায়। পুলিশেরও লিখিত অভিযোগ নেওয়া উচিত।’’

আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুকেশ জৈন বলেন, ‘‘নাগরিকেরা যে কোনও থানায় অভিযোগ করতে পারেন। সমস্যা হলে সরাসরি আমার দফতরে আসতে পারেন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Teacher Crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy