পিচ, পাথর উঠে বেরিয়েছে ঢালাইয়ের খাঁচা, কাশীরাম দাস সেতুতে। নিজস্ব চিত্র
সন্ধ্যা নামলেই ঘুটঘুটে আঁধার চার দিকে। অন্য দিকে, বড় বড় ফাটল। এলাকাবাসী জানান, এমনই পরিস্থিতি কাটোয়া মহকুমার ব্যস্ততম কাশীরাম দাস সেতুটির। দিনে দূর থেকে সেতুটি যে বেহাল, তা বোঝা যায় না। কিন্তু কাছে গেলেই বোঝা যায় সেতুর স্বাস্থ্য দুর্বল, অভিযোগ চালকদের। যদিও প্রশাসনের দাবি, সেতুর স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ১৯৮০ সালে কাটোয়া-কেতুগ্রাম রোডে চরখি গ্রামে অজয়ের উপরে সেতুটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন পূর্তমন্ত্রী যতীন চৌধুরি। এর ফলে সাবেক বর্ধমান ও বীরভূম জেলার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ হয়। দু’জেলারই কয়েক লক্ষ মানুষ উপকৃত হন। প্রতি দিন ২৪ ঘণ্টা এই সেতু দিয়ে চলাচল করে বহু যানবাহন। এর ফলে সরকারের রাজস্ব আদায়ও হয়। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দা মিন্টু মণ্ডল, সুকুমার ঘোষদের অভিযোগ, ‘‘সদ্য নীল-সাদা রঙের প্রলেপ দেওয়া ছাড়া সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে কোনও পদক্ষেপ এ যাবৎ চোখে পড়েনি।’’ তাঁরা আরও জানান, সেতুর দু’ধারে ফুটপাতের ‘স্ল্যাব’ বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে বড়বড় ফাঁক তৈরি হয়েছে। এমনকি, তা দিয়ে মানুষ পর্যন্ত গলে যেতে পারে বলে দাবি তাঁদের। এলাকাবাসী আরও জানান, সেতুতে পথবাতি না থাকায় সন্ধ্যায় পথচারীরা যে কোনও মুহূর্তে বিপদে পড়তে পারেন।
তা ছাড়া, ফুটপাত জুড়ে গাছপালা গজানোয় সমস্যা বেড়েছে। আরও দেখা গেল, সেতুর মূল অংশের নানা জায়গায় বড় খন্দ তৈরি হয়েছে। কোনও কোনও জায়গায় পিচ-পাথর উঠে ঢালাইয়ের খাঁচা বেরিয়ে পড়েছে। চালকদের ক্ষোভ, ‘‘একটু ভারী যান চলাচল করলেই রীতিমতো কাঁপতে থাকে সেতু।’’
পূর্ত দফতরের (সড়ক) বর্ধমান নর্থ ডিভিশনের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার অরিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘সামান্য একটা সমস্যা রয়েছে। আবহাওয়া ঠিক হলেই কাজ শুরু হবে। ফুটপাতগুলিও ঠিক করা হবে। তবে সেতু নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।’’ পথবাতির বিষয়ে কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ সাহানেওয়াজের আশ্বাস, ‘‘এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy