তার গানে মুগ্ধ এলাকার বাসিন্দারা। নিজস্ব চিত্র।
মাত্র ১৩ বছর বয়সেই গানের সুরে বাজিমাত মহম্মদ হায়দর আলির। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের গুসকরার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের আলুটিয়া এলাকায়। সুরের আলোয় সে দূর করেছে তার দু’চোখের চির অন্ধকার।
জন্মের মাস খানেক পরে হায়দর চোখের অসুখে আক্রান্ত হয়। তার মা হাফিজা বেগম তখন গুরুতর অসুস্থ। প্রসবকালীন জটিলতার জেরে হাফিজা অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাড়ির সবাই তখন তাঁকে নিয়ে ব্যস্ত। সদ্যোজাত হায়দরের চিকিৎসার ব্যাপারে কেউ উদ্যোগী হননি।
ফলে জটিল রোগে হায়দরের দু'টি চোখই নষ্ট হয়ে যায়। একটু বয়স বাড়তেই পাড়ার কোন অনুষ্ঠানে মাইক বাজলে হায়দার সেই গান শুনত মন দিয়ে। যে কোনও গান শুনলেই গুনগুনিয়ে সেই গান সে তুলে নিত। এই ভাবে নিজের অজান্তেই শুরু তার গানের তালিম।
আরও পড়ুন: তৃণমূল ছাড়লেন শুভেন্দু অনুগামী প্রণব, কালই বিজেপিতে যোগদান?
হায়দারের বাবা শেখ আনসার আলি বলেন, ‘‘তিন বছর বয়সের পর থেকেই হায়দার গুনগুন করে গান করত নিজের খেয়ালে। বাদ্যযন্ত্র করে নিত দরজার কাঠ কিংবা বাড়ির কোনও আসবাবপত্রকে।’’ আনসার আগে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। কিন্তু এখন শারীরিক অসুস্থতার জন্য বাড়িতেই থাকেন। কোনওরকমে চলে অভাবী সংসার।
ইতিমধ্যেই দু'তিনটে জায়গায় গানের অডিশন দিয়েছে হায়দর। সেখানে তাকে বলা হয়েছে তার আরও ভাল তালিমের প্রয়োজন। কিন্তু দিন আনা দিন খাওয়া সংসারে তা প্রায় অসম্ভব। সামান্য একটা হারমোনিয়ামও নেই হায়দারের।
আরও পড়ুন: জিতেন্দ্রযোগ নিয়ে বাবুল-সখা দিলীপ, শনিবারবেলার অপেক্ষায় বিজেপি
গুসকরা-সহ আশেপাশের এলাকায় জলসায় ডাক পায় হায়দার। তার গানে মুগ্ধ এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু যোগ্য তালিমের অভাবে সপ্তসুরের পথে হায়দরের যাত্রা মাঝে মাঝেই হোঁচট খাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy