কয়লা কারবারি রাজু ঝা খুনে ঝাড়খণ্ডের রাঁচী থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
কয়লা কারবারি রাজু ঝা খুনে ঝাড়খণ্ডের রাঁচী থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে ইন্দ্রজিৎ গিরি ও লালবাবু কুমার নামে ওই দু’জনকে ধরা হয়। ইন্দ্রজিতের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের জগদীশপুর ও লালবাবুর বাড়ি বিহারের গয়ায়। পুলিশ সূত্রের দাবি, ধৃতেরা খুনের ঘটনার পর থেকে রাঁচীর জগন্নাথপুরে ভাড়া থাকছিল।
পুলিশের দাবি, ধৃতদের বিরুদ্ধে ভিন্ রাজ্যে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সোমবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে তোলা হলে তদন্তকারীরা ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতের আবেদন করেন। ১০ দিন পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর হয়েছে। পুলিশের একাংশের দাবি, রাজু ঝা খুনে প্রথম ধৃত অভিজিৎ মণ্ডল এখনও তাদের হেফাজতে রয়েছেন। অভিজিৎই হিন্দি বলয় থেকে ভাড়াটে খুনিকে শক্তিগড় পর্যন্ত পথ চিনিয়ে দেওয়া ও তাদের নিরাপদে ফেরানোর কাজ করেছিলেন বলে ধারণা। অভিজিতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই দু’জনকে রাঁচী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। তদন্তকারীরা আদালতে জানিয়েছেন, ১ এপ্রিল শক্তিগড়ে রাজুকে খুনের সময়ে আততায়ীরা নীল রঙের একটি গাড়িতে এসেছিল। খুনের পরে শক্তিগড় থানার সামনে সেটি রেখে সাদা একটি এসইউভি-তে শক্তিগড় থেকে কাটোয়া হয়ে অজয় পার করে মুর্শিদাবাদ-বীরভূম হয়ে ঝাড়খণ্ড চলে গিয়েছে বলে তথ্য মেলে। পুলিশ জেনেছে, সাদা গাড়িটি দিল্লি থেকে জোগাড় করা হয়েছিল। ঘটনাচক্রে, খুনে ব্যবহৃত নীল রঙের গাড়িটিও দিল্লি থেকে চুরি গিয়েছিল। তদন্তকারীদের আরও দাবি, হিন্দি বলয় থেকে দুষ্কৃতীদের যাতায়াতের বিষয়ে অভিজিৎকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ওই দু’জন সাহায্য করেছিল।
এর পরেই রবিবার এই খুনের তদন্তে গঠিত ‘সিট’-এর কয়েক জন অফিসার রাঁচী যান। স্থানীয় পুলিশের সাহায্য নিয়ে ওই দু’জনকে ধরা হয়। তদন্তকারীদের দাবি, সাদা এসইউভিটি উদ্ধার করা গেলে অনেক জট খুলতে পারে। সে কারণে দুই ধৃতকে নিয়ে অভিজিতের সঙ্গে মুখোমুখি জেরা করা হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy