Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

জট কাটিয়ে করিডরের জমি অধিগ্রহণের আশা

জেলার বণিক সংগঠনগুলি জানায়, এই করিডর তৈরি হলে পণ্য আমদানি ও রফতানির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পেতে পারে আসানসোল ও দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বাণিজ্যকেন্দ্রগুলি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সুশান্ত বণিক
আসানসোল শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৭ ০১:১৫
Share: Save:

ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণ নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যা কাটিয়ে কী ভাবে পূর্ব রেলের ‘ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর’ প্রকল্পটি রূপায়ণের জন্য দ্রুত জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া কী ভাবে শেষ করা যায়, তা নিয়ে বৈঠকে বসল পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। উচ্চপর্যায়ের ওই বৈঠক শেষে জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি জানান, চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করার চেষ্টা চলছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম বর্ধমান জেলার পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ এই করিডরের মধ্যে পড়েছে। জেলার বণিক সংগঠনগুলি জানায়, এই করিডর তৈরি হলে পণ্য আমদানি ও রফতানির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পেতে পারে আসানসোল ও দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বাণিজ্যকেন্দ্রগুলি। বিষয়টি নিয়ে বণিক সংগঠনগুলি জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার আর্জিও জানিয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দত্ত বলেন, ‘‘ফ্রেট করিডর শিল্পাঞ্চলের সামগ্রিক আর্থিক উন্নতি হবে।’’

জেলা প্রশাসন জানায়, এই করিডরের জন্য জেলায় ৪৬১ একর জমি লাগবে। জেলাশাসক বলেন, ‘‘এ পর্যন্ত প্রায় দু’শো একর জমি মিলেছে। বাকি জমিও দ্রুত অধিগ্রহণ করা হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করা যাবে বলে মনে করছি।’’

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রস্তাবিত ফ্রেট করিডর প্রকল্পটি যে সব অঞ্চলে রূপায়িত হবে, সেখানে জমিগুলি চার ধরনের মালিকানাধীন। কী তা? প্রশাসনের এক কর্তা জানান, জমিগুলি মূলত রেল, সরকারি খাস জমি, ব্যক্তি মালিকানাধীন ও নানা সংস্থার। সংস্থাগুলি ইসিএল, ইস্কো স্টিল প্ল্যান্ট এবং দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট (ডিএসপি)।

ইতিমধ্যেই রেল কর্তারা তাঁদের জমি করিডরের কাজে লাগিয়েছেন। সরকারি খাস জমিও রেল কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তরিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ জানান, ইসিএল, ইস্কো, ডিএসপি-র কাছ থেকেও জমি কেনার প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

তবে গোল বেধেছে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিগুলি নিয়ে। কী তা? প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, একাধিকবার বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও জমি মালিকেরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে জমি দিতে এগিয়ে আসছেন না। তা ছাড়া জমির দাম নিয়েও জমি মালিক ও প্রশাসনের মধ্যে দরাদরি চলছে বলে জানা গিয়েছে। কয়েক জন জমি মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ওই জমিতে তাঁদের বসতবাড়ি, দোকান প্রভৃতি রয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে অবশ্য কোনও তাড়াহুড়ো করা হবে না বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জেলাশাসকের অবশ্য দাবি, ‘‘জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Land acquisition
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE