প্রতীকী ছবি।
করোনা-পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য-বিধির কথা মাথায় রেখে ‘বিহার মডেলে’ এ বঙ্গে বিধানসভা ভোট করাতে পারে নির্বাচন কমিশন, এমনই মনে করছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের কর্তারা। কয়েকমাস আগে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বুথ পিছু সর্বাধিক ভোটার রাখা হয়েছিল এক হাজার। সেই হিসেবে ৩৪ শতাংশ বুথ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে জেলায়। তবে বুথ বাড়লেও তা স্থায়ী হবে না। সেগুলি হবে ‘অগ্জ়িলিয়ারি’ বুথ। তবে বেশ কয়েকটি জায়গায় একই চত্বরে অস্থায়ী বুথ করার জায়গা মেলেনি বলে প্রশাসনিক রিপোর্টে ধরা পড়েছে।
সেপ্টেম্বরের গোড়ায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বুথ পুনর্গঠন করা হয়। সেই হিসেবে জেলায় বুথ হয় ৪,৪৫৮টি। এগুলি সবই স্থায়ী বুথ। বিহারের মতো এ রাজ্যেও বিধানসভা নির্বাচনে এক হাজার ভোটার নিয়ে বুথের ব্যবস্থা করা যায় কি না, তার জেলা ভিত্তিক রিপোর্ট নেয় নির্বাচন কমিশন। সেখানে বলা হয়েছে, শুধু ভোট পর্বের জন্য জেলায় ১,৪৭৭টি অস্থায়ী বুথ তৈরি করা হতে পারে। তবে ‘অগ্জ়িলিয়ারি’ বুথ তৈরি করতে গিয়ে জেলা প্রশাসনকে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্রশাসনের দাবি, বেশ কয়েকটি গ্রামে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বুথ হয়। একটি বড় ঘরেই ভোট প্রক্রিয়া চলে। পাশে আর কোনও ঘর না থাকায় মন্তেশ্বর, কেতুগ্রাম, ভাতার বিধানসভায় দু’টি করে, কালনা ১, মেমারি ১, পূর্বস্থলী দক্ষিণ ও আউশগ্রামে একটি করে বুথে অস্থায়ী বুথ করা যাচ্ছে না। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘নির্বাচন কমিশনে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। নির্দেশ অনুযায়ী, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
প্রশাসনের দাবি, ভোট গ্রহণের প্রয়োজন অনুসারে, অস্থায়ী বুথ তৈরি করে কমিশন। ভোট মিটে গেলে তার অস্তিত্ব থাকে না। তাই স্থায়ী বুথ সংখ্যার সঙ্গে এর সংযোজন বা বিয়োজনের প্রশ্ন নেই। পুনর্গঠনের সময় বুথ পিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটার রাখা হয়। প্রশাসনের দাবি, করোনা-পরিস্থিতি এখনই বদলানোর সম্ভাবনা নেই। নির্ধারিত সময়ে ভোট হবে ধরে নিয়ে কমিশন সব তথ্য হাতে নিতে চাইছে। ভোটে অভিজ্ঞ কর্তাদের দাবি, সাধারণত বিধানসভা নির্বাচনে জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে কমিশনের নড়াচড়া শুরু হত। এ বছর নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে কমিশনের নির্দেশ আসতে শুরু করেছে।
বুথের সঙ্গে ভোটকর্মী এবং ইভিএমের হিসেবও জরুরি। জরুরি নিরাপত্তার বিষয়টিও। তার প্রাথমিক হিসেবনিকেশের জন্য এ রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে কমিশন। তার পরের ধাপেই প্রশিক্ষণ। ইতিমধ্যে অতিরিক্ত জেলাশাসক, বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার এগজ়িকিউটিভ অফিসার, চার জন মহকুমাশাসক, জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিককে ‘স্টেট লেভেল মাস্টার ট্রেনার’ (এসএলএমবি) নিযুক্ত করেছে কমিশন। তাঁদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। সোম ও মঙ্গলবার জেলা নির্বাচন দফতরের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলাশাসক অনির্বাণ কোলে ও অফিসার-ইন-চার্জ প্রদীপ্ত বিশ্বাসকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy