Advertisement
E-Paper

নেই প্রতীক্ষালয়, বুদবুদে রোদ-জলে ভোগান্তি যাত্রীদের

এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা থেকে বর্ধমান ও দুর্গাপুরের দিকে যেতে হলে বুদবুদ, আউশগ্রাম ও গলসির বাসিন্দারা বুদবুদ বাসস্ট্যান্ড দু’টির উপরে নির্ভর করেন।

বুদবুদে এই ভাবেই বাস ধরতে হয় যাত্রীদের।

বুদবুদে এই ভাবেই বাস ধরতে হয় যাত্রীদের। নিজস্ব চিত্র ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৪২
Share
Save

পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদ বাজারে বুদবুদ তো বটেই, আউশগ্রাম ও গলসিরও বহু মানুষ প্রতিদিন আসেন। এখানে রয়েছে দু’টি বাসস্ট্যান্ড। কিন্তু বর্ধমান যাওয়ার স্ট্যান্ডে যাত্রী প্রতীক্ষালয় না থাকায় সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। গলসি ১ পঞ্চায়েত
সমিতি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শেরশাহ যখন গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড বা জিটি রোড তৈরি করেছিলেন সেই সময়ে বুদবুদদের নাম ছিল বুদবুদ চটি। জিটি রোড দিয়ে যাওয়া মানুষ জন এখানে বিশ্রাম নিতেন। পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বুদবুদ এলাকায় সেনাছাউনি গড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার ব্যপ্তি ঘটে। ধীরে ধীরে বদলাতে থাকে পুরো এলাকা। বুদবুদ বাজার এলাকায় প্রায় এক হাজারেরও বেশি ছোট-বড় দোকান আছে।

এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা থেকে বর্ধমান ও দুর্গাপুরের দিকে যেতে হলে বুদবুদ, আউশগ্রাম ও গলসির বাসিন্দারা বুদবুদ বাসস্ট্যান্ড দু’টির উপরে নির্ভর করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন ১২০টি বাস বুদবুদ হয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু বর্ধমানের দিকে যাওয়ার স্ট্যান্ডটি নিয়েই সমস্যা। সেখানে প্রতীক্ষালয় না থাকায় যাত্রীদের রোদ-জল মাথায় নিয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।

এই পরিস্থিতিতে সমস্যার কথা জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। সম্প্রতি বর্ধমান যাওয়ার বাস ধরতে এসেছিলেন হিরণ্ময় ঘোষ। তিনি বলেন, “অনেক সময়েই বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। অনেক যাত্রী আশপাশের দোকানগুলিতে বিশ্রাম নেন। আবার অনেকে দুর্গাপুর দিকের প্রতীক্ষালয়ে অপেক্ষা করেন। বর্ষা ও গরমে খুব সমস্যা
হয়।” প্রতিদিন কর্মসূত্রে বর্ধমানের নবাবহাট যেতে হয় মানকরের বাসিন্দা সুদীপা মণ্ডলকে। তিনি বলেন, “আমরা নিত্যদিন যাতায়াত করি। এখানে একটি প্রতীক্ষালয় তৈরি করা হলে যাত্রীদের সুবিধা হবে।”

এ দিকে, বুদবুদ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি রতন সাহা জানান, বিভিন্ন মহলে
প্রতীক্ষালয় তৈরির জন্য আর্জি জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। যদিও, গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে এক বার এখানে প্রতীক্ষালয় তৈরির তোড়জোড় করা হয়েছিল। কিন্তু জায়গার সমস্যায় শেষমেশ তা দিনের আলো দেখেনি। তবে, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা ওই এলাকায় প্রতীক্ষালয় তৈরি করার চেষ্টা করছি। সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানো হবে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Budbud

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}