মলয় ঘটকের স্ত্রী সুদেষ্ণা ঘটক। — নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়ি দেখে ‘অবাক’ হয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)-র আধিকারিকেরা। কোনও মন্ত্রীর বাড়ি যে এমন হতে পারে, তা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বুধবার এমন দাবি করেছেন মন্ত্রীর স্ত্রী সুদেষ্ণা ঘটক। একই সঙ্গে তিনি গোয়েন্দাদের ব্যবহারের প্রশংসাও করেছেন। যদিও সিবিআইয়ের তরফে সুদেষ্ণার দাবি প্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বুধবার সকাল থেকেই তল্লাশি শুরু হয় আসানসোলে মলয়ের আপকার গার্ডেন এবং চেলিডাঙার তিনটি বাড়িতে। গোয়েন্দারা যখন আপকার গার্ডেনের বাড়িতে যান, তখন সেখানে ছিলেন সুদেষ্ণা। গোয়েন্দারা বেরিয়ে যেতেই সুদেষ্ণা জানান, তদন্তকারীরা তাঁর সঙ্গে ভীষণ ভাল ব্যবহার করেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘ওঁরা বলেন, আপনার ব্যবহার ভীষণ ভাল।’’ একই সঙ্গে মন্ত্রী-জায়া বলেন, ‘‘সব দেখে গোয়েন্দারা বলেন, ‘আমরা যা ভেবেছিলাম, এখানে এসে সব উল্টো দেখলাম। অন্যান্য জায়গায় যা দেখেছি তাতে ভাবতে পারিনি যে, এটা একটা মন্ত্রীর বাড়ি হতে পারে।’’
তল্লাশি চলাকালীন বুধবার মলয়ের বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। আলমারির তালা ভাঙার জন্য চাবিওয়ালাকে ডাকা হয়। সুদেষ্ণার দাবি, ‘‘আমিই চাবিওয়ালাকে ডেকেছিলাম। কারণ ওই আলমারিগুলির চাবি হারিয়ে গিয়েছিল। ওঁরা আলমারি দেখেছেন।’’ সিবিআই আধিকারিকরা কোনও নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন কি না জানতে চাওয়ায় সুদেষ্ণা পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনারা কি ওঁদের হাতে কিছু দেখলেন?’’
তবে সিবিআই আধিকারিকরা অনেক কিছু লেখালিখি করেছেন বলে জানিয়েছেন সুদেষ্ণা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আলমারিগুলি ভাঙা হয়েছে। সেই নথিতে সই করিয়েছেন আধিকারিকরা।’’ তদন্তকারীরা তাঁর কাছ থেকে কিছু জানতে চাননি বলে দাবি করেছেন মলয়ের স্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘ওঁরা খুবই ভদ্র ব্যবহার করেছেন। আলমারি খুলে ওঁরা আমাকেই জামাকাপড় সরাতে বলেন। এ-ও বলেন, ‘‘বাড়িতে ভাঙা জিনিসপত্র রাখবেন না।’’
সকাল থেকে সিবিআইয়ের তল্লাশি-পর্ব চলাকালীন স্বামীর সঙ্গে কোনও কথা হয়নি বলেও জানিয়েছেন সুদেষ্ণা। আপকার গার্ডেনের বাড়িতে তল্লাশির সময় সেখানে পৌঁছেছিলেন সুদেষ্ণার বোন সোনা গুপ্ত। তিনি আসানসোল পুরনিগমের ৮১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও। কিন্তু তাঁকে আটকে দেন তদন্তকারীরা। এ নিয়ে সুদেষ্ণার বক্তব্য, ‘‘আমার এক বোন এসেছিলেন। আমি এক জন শিক্ষকের মেয়ে। আমি নিয়ম মানতে জানি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy