আসানসোলের এই রাস্তাতেই আচমকা ধস নামে। — নিজস্ব চিত্র।
আসানসোলের সালানপুর ব্লকের দেন্দুয়া মোড় সংলগ্ন আসানসোল চিত্তরঞ্জনে রাস্তায় ধস। প্রায় তিন ফুট রাস্তা আচমকা বসে যায়। ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে। জলের পাইপলাইন বসানোর কাজ চলছিল। সেখানেই কোনও গোলমালের জেরে রাস্তায় ধস বলে মনে করা হচ্ছে।
জোশীমঠে ফাটলের আবহে গত মঙ্গলবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্ক করে দিয়েছিলেন রানিগঞ্জকে। তাঁর আশঙ্কা ছিল, জোশীমঠের মতোই রানিগঞ্জেও নামতে পারে ধস। সেই মন্তব্যের সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই আসানসোলের সালানপুরে রাস্তায় নামল ধস। এই এলাকায় অবৈধ কয়লা উত্তোলনের ফলে ধসের খবর নতুন কিছু নয়, কিন্তু এই ধস কয়লা কাটার জন্য নয় বলে জানান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা মহম্মদ আরমান।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত কয়েক দিন ধরে ওই রাস্তার পাশে চলছিল জলের পাইপলাইন বসানোর কাজ। কাজের শেষে সম্ভবত মাটি বা বালি ঠিকমতো ভরাট করেনি ঠিকাদার সংস্থা। সেই জন্যই ধস বলে মনে করা হচ্ছে। আবার রাস্তা তৈরির ত্রুটিতেও ধস নামতে পারে। ফলে ঠিক কী কারণে ধস তা এখনও স্পষ্ট নয়। ধসের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সালানপুর থানার পুলিশ। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান এবং স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রঞ্জন দত্তও অকুস্থলে পৌঁছন। খবর দেওয়া হয় পিএইচই দফতরে। জায়গাটি ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছে। ধসের জেরে যানচলাচলে কোনও রকম অসুবিধা হয়নি।
আরমান বলেন, ‘‘পিএইচই দফতর থেকে পানীয় জলের পাইপলাইনের কাজ চলছে। গতকাল (শুক্রবার) মেশিন দিয়ে রাস্তার ভেতরে পাইপ বসানোর কাজ হচ্ছিল। হয়তো তারই জন্য পাশের রাস্তাটি বসে গিয়েছে। পিএইচইর সঙ্গে কথা হয়েছে। খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’’ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, এই এলাকায় অবৈধ ভাবে প্রচুর কয়লা কাটা হয়েছে। এর ফলে মাটির তলায় বড় বড় গর্ত হয়ে গিয়েছে। সেই জন্যই রাস্তায় ধস মেনেছে। পাশাপাশি পাইপলাইন নিয়ে যাওয়ার ফলে মাটির তলা আরও বেশি আলগা হয়ে গিয়েছে বলেও মনে করেন তাঁরা। জোশীমঠের ঘটনা দেখার পর বাড়ির পাশেই এই ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy