Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Hostel

Bardhaman Hostel Ruckus: হস্টেলে খারাপ খাবার নিয়ে ধুন্ধুমার মেমারি, স্কুলে ঢুকে লাঠিপেটা, ভাঙচুর বহিরাগতদের

মেমারির এই স্কুলে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্ররা থেকে পড়াশোনা করেন। বেশ কিছু দিন ধরেই সেখানে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে খাবার নিয়ে বিবাদ চলছিল।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেমারি শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২২ ১০:৩২
Share: Save:

হস্টেলে নিম্নমানের খাবার নিয়ে সুপারের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিল পড়ুয়ারা। ছাত্রদের অভিযোগ, সুপার তাঁদের কথা তো শোনেনইনি। উল্টে বহিরাগতদের হস্টেলে ডেকে এনে ছাত্রদেরই বেধড়ক মারধর করান। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনা। মেমারির দুর্গাডাঙার আল আমিন মিশন অ্যাকাডেমি স্কুলের ছাত্রাবাসে বাইরে থেকে হঠাৎই বেশ কিছু যুবক ঢুকে পড়েন। স্কুলের ছাত্ররা জানিয়েছে, লাঠি, রড দিয়ে প্রথমে ছাত্রদের বেধড়ক মারধর শুরু করেন তাঁরা। পরে স্কুলেও ভাঙচুর চালান। অভিযোগ, এই গোটা ঘটনাটিই ঘটে হস্টেলের সুপারের নেতৃত্বে।

মেমারির এই স্কুলে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্ররা থেকে পড়াশোনা করেন। গত কয়েক দিন ধরেই সেখানে পড়ুয়াদের সঙ্গে হস্টেল কর্তৃপক্ষের খাবার নিয়ে বিবাদ চলছিল। হস্টেলে ছাত্রদের নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করা নিয়ে সুপারকে বহু বার জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের। এর মধ্যে শুক্রবার পরীক্ষা থাকায় তার আগের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতেও ছাত্ররা খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ জানাতে আল আমিন মিশন অ্যাকাডেমির মেমারি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার হাসিবুল রহমান আলমের কাছে যায়। ছাত্রদের দাবি, তার পরেই সুপার ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের ডেকে এনে তাণ্ডব চালান।

এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয় ১৫-২০ জন পড়ুয়া। তাদের মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঘটনাস্থলে যায় মেমারি থানার পুলিশ। ঘটনাটি প্রসঙ্গে আল আমিন মিশনের সুপারের সঙ্গে যোগাযেগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

অন্য বিষয়গুলি:

Hostel Students beaten Low quality Food
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE