সময়ে বই না আসায় গত বছর ‘বাংলা ভাষা ও শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির ইতিহাস’ বইটি ছাড়াই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে হয়েছিল বহু পড়ুয়াকে। এ বার শিক্ষাবর্ষ শুরুর পরে তিন মাস কেটে গেলেও পড়ুয়াদের হাতে বইটি না পৌঁছনোয় সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা। শুধু তাই নয়, এ বারই প্রথম একাদশ শ্রেণিতে সাতটি ভাষার পাঠ্যপুস্তক শিক্ষা দফতর বিনামূল্যে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও বহু স্কুলের পড়ুয়ার হাতে এখনও তা পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতর সূত্রে খবর, বই এসে পড়ে রয়েছে জেলা দফতরে। কিন্তু নানা স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, এ ব্যাপারে তাঁদের কিছু জানানো হয়নি।
‘বাংলা ভাষা ও শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির ইতিহাস’ বইটি গত শিক্ষাবর্ষের শুরুতে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা বইটি বাজার থেকে কিনে পড়তে শুরু করেছিল। কিন্তু বইয়ের একটি লেখা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় রাজ্য সরকার বইটি বাতিল করে। পরে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়, বইটির পরিমার্জিত সংস্করণ প্রকাশ করা হয়েছে। জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের মাধ্যমে বই পাঠিয়ে দেওয়া হয় সহকারী স্কুল পরিদর্শকের অফিসে। স্কুলগুলি সেখান থেকে বই সংগ্রহ করে। কিন্তু বহু স্কুলের পড়ুয়ার হাতেই বইটি শেষ পর্যন্ত পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। এ বারও সেই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে কি না, সে নিয়ে ধন্দে দ্বাদশ শ্রেণির বহু পড়ুয়া।
পড়ুয়ারা জানায়, শিক্ষাবর্ষ শুরুর পরে তিন মাস কেটে গেলেও কেউ বই পায়নি। নভেম্বরে টেস্ট পরীক্ষা। কবে বই আসবে সে ব্যাপারে স্কুলগুলির কিছু জানা নেই। প্রধান শিক্ষকেরা জানান, আপাতত গত বছরের পড়ুয়াদের কাছে থেকে বই নিয়ে পড়তে বলা হয়েছে। শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, একাদশ শ্রেণিতে যে বইটি দেওয়া হয়েছে সেটিই দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ানো হবে। কিন্তু প্রধান শিক্ষকদের অভিযোগ, তাঁদের হাতে এই সংক্রান্ত কোনও নির্দেশিকা এখনও আসেনি। এ দিকে, একাদশের বইয়ে দেখা গিয়েছে, সেখানে স্পষ্ট করে একাদশ শ্রেণির পাঠ্যবই হিসেবে উল্লেখ করা আছে। সেই বই কী ভাবে দ্বাদশের পাঠ্য হতে পারে, তা নিয়ে সংশয়ে প্রধান শিক্ষকদের একাংশ।
এ বার শিক্ষাবর্ষের শুরুতে শিক্ষা দফতর ঘোষণা করে, সংসদ অনুমোদিত প্রতিটি স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের সাতটি ভাষার প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের পাঠ্যপুস্তক সংসদ থেকে দেওয়া হবে। বাংলা, ইংরেজি, ঊর্দু, হিন্দি, নেপালি ও সাঁওতালি ভাষার বই দেওয়ার কথা। অথচ তিন মাস কেটে যাওয়ার পরে জেলার বহু স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, পর্যাপ্ত বই আসেনি। অন্তত ২০-৩০ শতাংশ পড়ুয়া এখনও বই পায়নি।
জেলা স্কুল পরিদর্শক খগেন্দ্রনাথ রায় এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে তাঁর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, একাদশ শ্রেণির সাঁওতালি ভাষার বইটি শুধু আসেনি। বাকি সব ভাষার পর্যাপ্ত বই রাজ্য থেকে পাঠানো হয়েছে। স্কুলগুলিকে উদ্যোগী হয়ে বই সংগ্রহের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy