এই পথবাতিগুলি নিয়েই সমস্যা। নিজস্ব চিত্র
পথবাতি আছে। কিন্তু তা জ্বালানোর জন্য কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কাঁকসার আমলাজোড়া ও কাঁকসা পঞ্চায়েত, অভিযোগ বিরোধী ও সাধারণ বাসিন্দাদের একাংশের। এই পরিস্থিতিতে অন্ধকারে যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।
আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এডিডিএ) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬-য় কাঁকসা পঞ্চায়েতের ডাকবাংলো মোড় থেকে ক্যানালপাড়, আমলাজোড়া পঞ্চায়েতের রাজবাঁধ স্টেশন থেকে মানিকাড়া মোড় ও গোপালপুর পঞ্চায়েতের গোপালপুর হাইস্কুল থেকে রাজবাঁধ বাসস্ট্যান্ডের কিছুটা আগে পর্যন্ত একশোটিরও বেশি পথবাতি লাগানো হয়। তিনটি পঞ্চায়েতই তৃণমূল পরিচালিত। পর্ষদ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই পঞ্চায়েতগুলিই এলাকার মূল রাস্তাগুলিতে পথবাতি বসানোর জন্য আর্জি জানিয়েছিল। তবে পথবাতি এডিডিএ বসালেও, সেগুলির জন্য বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার কথা সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের। তা জানানোও হয়েছিল পঞ্চায়েতগুলিকে, দাবিএডিডিএ সূত্রে।
কিন্তু গোপালপুর পঞ্চায়েত ছাড়া অন্য দুই পঞ্চায়েত এলাকায় পথবাতিগুলি জ্বলে না। ফলে ওই দুই পঞ্চায়েত এলাকা আঁধারেই রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁকসার ডাকবাংলো মোড় থেকে ক্যানালপাড় এলাকায় থাকা পথবাতিগুলিতে দীর্ঘদিন বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় এলাকারই কেউ-কেউ ‘অবৈধ’ ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে সেগুলি জ্বালানোর ব্যবস্থা করেন। কিন্তু বিদ্যুৎ দফতর খবর পেয়ে সংযোগ ছিন্ন করেয়। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দা অভিষেক মণ্ডল, কল্পনা ঘোষদের বক্তব্য, “রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারে ডুবে যায় পুরো এলাকা। দ্রুত পথবাতিগুলি জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হোক।”
কিন্তু কেন জ্বলেনি আলো? কাঁকসা পঞ্চায়েতের প্রধান শুক্লা সিংহের দাবি, “ওই পথবাতি সম্পর্কে আমাদের কাছে কোনও লিখিত নথি নেই। ফলে, বিদ্যুৎ সংযোগ কে দেবে, তা আমরা জানি না!” প্রতিক্রিয়ার জন্য যোগাযোগ করা হলেও, অমলাজোড়া পঞ্চায়েত প্রধান চয়নিকা পাল ফোন তোলেননি। সোমবার রাত পর্যন্ত জবাব মেলেনি মেসেজেরও। তবে, গোপালপুর পঞ্চায়েত প্রধান জয়জিৎ মণ্ডলের বক্তব্য, “এডিডিএ-র তরফে জানানো হয়েছিল, বিদ্যুৎ বিল পঞ্চায়েতকেই মেটাতে হবে। সে মতো আমরাবিল দিচ্ছিও।”
এ দিকে, বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা রমন শর্মার দাবি, “প্রতিটি পঞ্চায়েতেই নিজস্ব তহবিল থাকে, সেখান থেকে অনায়াসে বিদ্যুতের বিল মেটানো যায়। তবে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা না ভেবে মেলা-খেলায় অর্থ অপচয় করেন। তাই এই অবস্থা।” সিপিএম নেতা বীরেশ্বর মণ্ডলের তোপ, “প্রায় সাত বছর পথবাতিগুলি পড়ে আছে। পরে আর কোনও দিন আলো জ্বলবে কি না, তাই-ই বলা মুশকিল।” তবে পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সমীর বিশ্বাসের প্রতিক্রিয়া, “কোনও সমস্যা থাকায় হয়তো পথবাতিগুলি চালু করা যায়নি। তবে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত প্রধান ও এডিডিএ-র সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy