Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Babul Supriyo

Sidhabari Village: ‘খুশি’ সিদাবাড়ি, ‘উষ্মা’ অকাল ভোটের সম্ভাবনায়

এই পরিস্থিতিতে উড়ালপুলটির ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়েও নাগরিকদের একাংশের মধ্যে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:৫২
Share: Save:

তৃণমূলে যোগ দিয়েই বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছেন, তিনি সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন। এই পরিস্থিতিতে, এক দিকে যদি তিনি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন, তা হলে, ছ’মাসের মধ্যে ‘অকাল ভোট’ আসন্ন আসানসোলে। এই বিষয়টি ভাবাচ্ছে নাগরিকদের একাংশের। পাশাপাশি, তিনি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ফলে, কেন্দ্রের টাকায় চলা নানা প্রকল্প এবং একদা তাঁর দত্তক নেওয়া গ্রাম পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুরের সিদাবাড়ির ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও, এ বিষয়ে বাবুলের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

২০১৪-য় প্রথম বার সাংসদ ও মন্ত্রী হয়ে ওই গ্রামটি দত্তক নেন বাবুল। তার পরে, গ্রামের রাস্তা, নর্দমা তৈরি, সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে পানীয় জলের ব্যবস্থা ও পথবাতি বসানোর তোড়জোড় শুরু হয়। গ্রামের বেকারদের জন্য মাছ চাষের প্রকল্প, মহিলাদের হস্তশিল্প প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়।

বাবুলের তৃণমূলে যোগ, এই সিদ্ধান্তে তাঁরা ‘খুশি’ বলে জানিয়েছেন বাসিন্দাদের একাংশ। গ্রামে মাছ চাষের সমবায় সমিতির কর্ণধার তীর্থ সেনের প্রতিক্রিয়া, “একটা হতাশার পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের ফলে, ভাল কিছুই হবে বলে আশা করছি।” পাশাপাশি, গ্রামের বাসিন্দা ও সমবায় সমিতির সদস্য অসিত রুজও জানান, “এত দিন গ্রামের উন্নয়নের কাজ নিয়ে কিছু প্রশ্ন ছিল। বাবুল এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে, আশা করছি, প্রকল্পগুলির কাজ নতুন উদ্যমে শুরু হবে।” যদিও, বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের প্রতিক্রিয়া, “কেন্দ্রীয় প্রকল্প হলে, এ রাজ্যে যে তা বাধা দেওয়া হয়, গ্রামবাসীর মন্তব্যেই তা পরিষ্কার।” যদিও, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (কুটির শিল্প) তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা মহম্মদ আরমানের প্রতিক্রিয়া, “বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন। বাবুল বিজেপিতে থাকার সময়েও, স্থানীয় প্রশাসনের যতটা সহযোগিতা করা দরকার, তা করা হয়েছে। এখন উনি আমাদের দলে। ফলে, উনি এই গ্রামের দিকে আগের মতোই বিশেষ নজর দেবেন বলেই মনে করি। উন্নয়নের কাজও চলবে।”

এ দিকে, সম্প্রতি আসানসোলের কুমারপুরে উড়ালপুল তৈরি হচ্ছে। বাবুল সে সম্পর্কে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, উড়ালপুল নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে। সময় করে তিনি কাজের অগ্রগতি দেখতে আসানসোলে আসবেন এবং সব ঠিক থাকলে এপ্রিলে উড়ালপুল তৈরির কাজ শেষ হবে বলেও জানান তিনি।— ঘটনাচক্রে, বাবুলের এ কথা জানানোর পরে, অজয়-দামোদর দিয়ে বহু জল গড়িয়েছে। বাবুল যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। এই পরিস্থিতিতে উড়ালপুলটির ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়েও নাগরিকদের একাংশের মধ্যে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। যদিও, রেল ও ইস্পাত মন্ত্রক জানিয়েছে, এই উড়ালপুলের জন্য প্রায় ৫৫ কোটি টাকা যৌথ ভাবে বরাদ্দ করা হয়েছে। এটি নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘ব্রিজ অ্যান্ড রুফ কোম্পানি’। রেল ও ইস্পাত মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট ভাবেই চলবে। বিজেপির জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইও বলেন, “প্রকল্পটি কেন্দ্রীয় সরকারের। সাংসদের নয়। কাজ যখন শুরু হয়েছে, তা শেষ হবেই।”

তবে, ‘অকাল নির্বাচনের’ সম্ভাবনা— এ নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। নাগরিকদের একাংশ তাঁদের ‘উষ্মা’র কথাও জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে। প্রাক্তন শিক্ষক কালীচরণ দে বলেন, “ফের কোটি-কোটি টাকা খরচ করে নির্বাচন করতে হবে। কোভিড পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি বেহাল। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের এই অবস্থাটার কথা মাথায় রাখা উচিত।”

অন্য বিষয়গুলি:

Babul Supriyo West Bengal Politics
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy