পসরা। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়
বিকেল, সন্ধ্যায় তেমন টের পাওয়া যায়নি। রাত বাড়তেই মালুম পড়েছে শব্দবাজির দাপট।
মঙ্গলবার রাতে বেঁধে দেওয়া সময়ের তোয়াক্কা না করে বর্ধমান শহরের বেশ কিছু জায়গায় শব্দবাজি ফেটেছে। বুধবার সন্ধ্যাতেও স্টেশন চত্বর, টাউনহল পাড়ার মতো কিছু জায়গায় ৯০ ডেসিবেলের বেশি আওয়াজে বাজি ফেটেছে বলে অভিযোগ। পুলিশের যদিও দাবি, বারবার অভিযানে অনেকটাই লাগাম টানা গিয়েছে। অন্য বছরের থেকে বাজির তাণ্ডব কম বলেও পুলিশের দাবি।
মহালয়ার দিন মাঝরাত থেকে দেদার বাজি ফাটায় সমস্যায় পড়েছিলেন বহু মানুষ। অসুস্থ, বয়স্কেরা তখন থেকেই দীপাবলি কেমন কাটবে তা নিয়ে আশঙ্কায় ছিলেন। নড়ে বসেছিল পুলিশ, প্রশাসনও। জেলা পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা তেঁতুলতলা বাজার-সহ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালায়। বাজি আটক, ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। দীপাবলির মুখে বর্ধমানের ১৯টি থানার হাতে তুলে দেওয়া হয় ‘সাউন্ড লেবেল মিটার।’ এই যন্ত্রের মাধ্যেমে সাউন্ড সিস্টেমের ক্ষেত্রে ৬৫ ডেসিবেলের বেশি এবং শব্দবাজির ক্ষেত্রে ৯০ ডেসিবেলের বেশি আওয়াজ হলেই যন্ত্র থেকে চালান বের হয়ে যাবে। তার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
তবে এত সবের পরেও কালীপুজার রাতে নতুনপল্লি, বাবুরবাগ, বাহির সর্বমঙ্গলাপাড়া, ষাঁড়খানা গলি, অরবিন্দপল্লি, নীলপুরের কিছু অংশে সন্ধ্যা থেকেই শব্দবাজি ফাটতে থাকে। রাত বাড়তেই তা মাত্রা ছাড়ায়। কালনা গেট এলাকার বাসিন্দা অশোক গঙ্গোপাধ্যায় জানান, হাইকোর্টের নিয়ম, পুলিশের অভিযান সব কিছুর পরেও শব্দবাজি কব্জা করা গেল না। একই অভিযোগ অরবিন্দপল্লির বাসিন্দা তৃপ্তি ঘোষেরও। তিনি জানান, রাত ১১টা নাগাদও বাজির আওয়াজে তাঁরা চমকে উঠেছেন। বাড়ির সারমেওরাও অস্থির হয়ে উঠেছে।
আবার তেজগঞ্জ, ভাতছালা-সহ একাধিক এলাকায় এ বার বাজির তাণ্ডব কম বলে জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। ভাতছালা পিয়ন পাড়ার বাসিন্দা স্বাগতা দে জানান, মহালয়ার দিন যা বাজি ফেটেছিল এ বার সেই তুলনায় কিছুই হয়নি। বর্ধমান স্টেশনের এক অফিসের কর্মী সত্যব্রত দুবেও জানান, অন্য বছরের থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই অন্য রকম এ বার। যদিও বুধবার ওই এলাকায় সন্ধ্যা ৬টা থেকেই বাজি ফেটেছে বলে জানা গিয়েছে। তালিত, দিঘিরপাড়ের বাসিন্দারা আবার তারস্বরে মাইক বাজানোর অভিযোগ করেছেন।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায় জানান, দীপাবলির আগে এবং দীপাবলিতেও যে অভিযান চলেছে, তার ফলেই লাগাম টানা গেছে শব্দবাজিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy