আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ধৃতদের। — নিজস্ব চিত্র।
সরকারি কমিউনিটি বসেছিল জুয়ার আসর। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেই কমিউনিটি হলে হানা দিল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা শাখা। রানিগঞ্জ এলাকার ওই কমিউনিটি হলে শুক্রবার গভীর রাতে হানা দিয়ে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে কিছু টাকাও। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন স্থায়ী এক তৃণমূল নেতার খুড়তুতো ভাই। আর এই ঘটনা ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রানিগঞ্জের চাপুই গ্রামের ওই সরকারি কমিউনিটি হলে বেশ কিছু দিন ধরেই জুয়া এবং সাট্টার আসর বসছিল। সেই খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে ওই কমিউনিটি হলে হানা দেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতরের কর্মীরা। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৯ জনকে। উদ্ধার হয়েছে ৯৯ হাজার টাকাও। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন প্রমোদকুমার নুনিয়া নামে এক যুবক। তিনি তৃণমূলের দখলে থাকা রানিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিনোদ নুনিয়ার ভাই হিসাবে পরিচিতি। আর এ নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের স্থানীয় নেতা বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যে কমিউনিটি হল গরিব মানুষদের ব্যবহারের জন্য সরকার থেকে তৈর করা হয়েছে, তাতে তৃণমূলের নেতারা জুয়ার ঠেক বসিয়েছেন। অর্থাৎ গরু, কয়লা, লোহা এবং বালি পর এ বার কমিউনিটি হলকে অবৈধ কাজে ব্যবহার করা শুরু করেছেন তৃণমূল নেতা এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত পঞ্চায়েতের আধিকারিকরা।’’
এ নিয়ে বিনোদের প্রতিক্রিয়া, ‘‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। প্রমোদকুমার নুনিয়া আমার নিজের ভাই নয়। ও কাকার ছেলে। আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’’
ওই কমিউনিটি হলটি চাপুই গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে। বিষয়টি নিয়ে রানিগঞ্জের বিডিও অভীককুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা খুবই লজ্জার বিষয়। এই ব্লকের অন্তর্গত যত কমিউনিটি হল রয়েছে তার সমস্ত কাগজপত্র এবং হলের চাবি বিডিও অফিসে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। কারও কমিউনিটি হল প্রয়োজন হলে তিনি পঞ্চায়েতে আবেদন করবেন। বিডিও অফিস থেকে তার দেখাশোনা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy