দুর্ঘটনার পরে বিক্ষোভ-জমায়েত দাউড়াডাঙায়। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক প্রৌঢ়ের। বৃহস্পতিবার ভোরে গুসকরা-বলগনা রাস্তায় ভাতারের দাউড়াডাঙা ও মাহাতার মধ্যে দুর্ঘটনার পরে অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ এসে অবরোধ তোলে। মৃত সমাপ্ত ঠাকুর (৫১) দাউড়াডাঙা গ্রামেরই বাসিন্দা। পেশায় ঠিকাদার সংস্থার অস্থায়ী কর্মী ছিলেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্য দিনের মতো এ দিন ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ প্রাতর্ভ্রমণে বার হন ওই প্রৌঢ়। মাহাতার দিকে হাঁটছিলেন তিনি। গুসকরা থেকে বলগনার দিকে যাওয়ার সময়ে একটি মুরগি খামারের কাছে ছোট গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে তাঁকে। মাথায় আঘাত লেগে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পরেই বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীর একাংশ। তাঁদের দাবি, রাস্তার ধার দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়ে তাঁকে ধাক্কা মেরেছে গাড়িটি। ফুটপাথ দিয়ে হেঁটে গেলেও পথচারীদের নিরাপত্তা থাকছে না বলে দাবি করেন তাঁরা।
এলাকার মানুষজনের অভিযোগ, রাস্তা সম্প্রসারণের পরে, ওই এলাকায় যান চলাচলের পরিমাণ অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। প্রচুর পাথর, বালিবোঝাই ডাম্পার যাতায়াত করে। গ্রামের মধ্যে দিয়ে বেপরোয়া গতিতে ওই সমস্ত যান চলাচলের কারণেই দুর্ঘটনা ঘটছে, অভিযোগ তাঁদের। বেশ কিছু ডাম্পারের উপযুক্ত নম্বর প্লেট থাকে না বলেও দাবি করেছেন অনেকে। প্রশ্ন রয়েছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।
এ দিন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ওড়গ্রাম ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশকে ঘিরেও ক্ষোভ জানান স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। ওই রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, স্পিড ব্রেকার তৈরি, মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে সকাল ৬টা থেকে গুসকরা বলগনা রাস্তা অবরোধও করে দেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। প্রায় ঘন্টা খানেক পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। পুলিশ দেহ তুলে ময়না-তদন্তে পাঠায়। ওই গাড়িটিকেও আটক করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মৃতের স্ত্রী এবং এক নাবালক সন্তান রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy