Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Cyber Crime

সাইবার প্রতারণা, ধৃত দুই মহিলা-সহ ৩

ফোন করে মানুষজনকে টোপ দিতেন। কয়েক হাজার নাম ও ফোন নম্বর লেখা খাতাও উদ্ধার হয়েছে।

বাজেয়াপ্ত ল্যাপটপ ও মোবাইল।

বাজেয়াপ্ত ল্যাপটপ ও মোবাইল। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বারাবনি শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪ ০৯:৪৯
Share: Save:

এটিএম বসানোর নামে প্রতারণার অভিযোগে পশ্চিম বর্ধমানের বারাবনি থানার পুলিশ দুই মহিলা-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, কলকাতার বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা শুভঙ্কর ব্রহ্মচারী, তাঁর স্ত্রী মানসী পাল ও সহযোগী মৌসুমি নন্দীকে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে আসানসোলে আনা হয়। ধৃতদের আসানসোলের সিজেএম আদালতে তোলা হলে ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়।

এসিপি (হিরাপুর) ঈশিতা দত্তের দাবি, জেরায় ধৃতেরা অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। তাঁরা কখনও ব্যাঙ্ক ঋণ পাইয়ে দেওয়া, এটিএম যন্ত্র ও মোবাইল টাওয়ার বসিয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে প্রতারণা করেছেন। তিনি জানান, ধৃতদের কাছ থেকে ৪০টি মোবাইল ও বেশ কয়েকটি ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাঁরা ফোন করে মানুষজনকে টোপ দিতেন। কয়েক হাজার নাম ও ফোন নম্বর লেখা খাতাও উদ্ধার হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২২-এর জুনে বারাবনির পানুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা চিন্তামনি চার অভিযোগ করেন, কলকাতার একটি সংস্থার নাম করে মাসিক মোটা টাকা ভাড়ার বিনিময়ে তাঁর জমিতে একটি এটিএম যন্ত্র বসানোর টোপ দেওয়া হয়। পরিবর্তে তাঁর কাছ থেকে কয়েক ধাপে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু বছর ঘুরে গেলেও ওই যন্ত্র বসেনি। মাসিক ভাড়াও পাননি। এর পরে তিনি বারাবনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, ওই সংস্থার তরফে চিন্তামনির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল। সংস্থার দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তিনি টাকা পাঠিয়েছিলেন। তবে সংস্থার কারও সঙ্গে কখনও দেখা হয়নি। এর পরে তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন ওই সংস্থাটি একটি প্রতারক চক্র। ডিসিপি (পশ্চিম) সন্দীপ কাররা বলেন, “প্রায় দেড় বছর ধরে বারাবনি থানার পুলিশ নানা ভাবে তদন্ত চালিয়ে এই চক্রের হদিস পায় ও পান্ডাদের গ্রেফতার করে।”

তদন্তকারীরা জানান, ধৃতেরা মধ্যমগ্রামে বাড়ি ভাড়া করে এই চক্রটি পরিচালনা করছিলেন। তাঁদের অধীনে ৪০ জন মহিলা ও পুরুষ কাজ করেন। তাঁদের মাসিক বেতন ১০ থেকে ১৩ হাজার টাকা দেওয়া হত। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, কার্যালয়টি একটি ‘কল সেন্টার’ বলে পরিচিত। বারাবনির থানার আধিকারিক মনোরঞ্জন মণ্ডলের নেতৃত্বে একটি দল বৃহস্পতিবার বাঁশদ্রোণী ও মধ্যমগ্রামে হানা দিয়ে চক্রের তিন পান্ডাকে গ্রেফতার করে জানিয়েছেন ডিসিপি (পশ্চিম) সন্দীপ। পুলিশ জানায়, ধৃতদের জেরা করে আরও কিছু তথ্য ও এই চক্রে জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Barabani
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE