লটারিতে টাকা জেতার নামে প্রতারণা একাধিক রাজ্যে নিজস্ব চিত্র।
অনলাইনে জিনিস কিনতে গিয়ে প্রতারণার স্বীকার হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের বাসিন্দারা। প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে সাত জনকে আসানসোল থেকে গ্রেফতার করেছে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। তাদের মধ্যে ছ’জন তেলঙ্গানা ও এক জন বিহারের বাসিন্দা।
আসানসোল পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরে প্রতারকরা ওই এলাকায় কয়েকটি বাড়ি ও হোটেলে ভাড়া ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় সাত জনকে। পুলিশ জানিয়েছে, বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে যাঁরা জিনিস কেনেন তাঁদের সমস্ত তথ্য পাচ্ছিল প্রতারকরা। জিনিস পৌঁছনোর পরে ডাকের মাধ্যমে ক্রেতার বাড়িতে একটি রেজিস্ট্রি করা চিঠি ও একটি কার্ড পৌঁছে যাচ্ছিল। কার্ডটি স্ক্র্যাচ করার পর দেখা যাচ্ছিল কেউ পাঁচ, আবার কেউ ছ’লক্ষ টাকা লটারিতে পেয়েছেন। তার পরই ফোন করে তাঁদের কাছ থেকে অ্যাকাউন্ট নম্বর, ব্যাঙ্কের আইএফএসসি কোড চাওয়া হচ্ছিল। সব তথ্য দিলে স্টেট ব্যাঙ্কের রসিদের স্ট্যাম্প-সহ ছবি ক্রেতাদের কাছে পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছিল তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ে গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাঙ্কে গিয়ে গ্রাহকরা বুঝতে পারেন কোনও টাকা জমা পড়েনি। তখন তাঁরা প্রতারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁদের টাকা পাঠাতে বলা হয়। লটারির টাকা পেতে গ্রাহকরা প্রতারকদের দাবি মতো টাকাও পাঠান। তার পরেও কোনও টাকা পাননি তাঁরা। তার পরেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। মোট কত টাকা প্রতারণা করা হয়েছে তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। বুধবার ধৃতদের আসানসোল আদালতে তোলা হয়। তাদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ডিসি সেন্ট্রাল কুলদীপ সোনেওয়ান জানিয়েছেন, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা চলছে। তবে মূল অভিযুক্ত বিহারের নালন্দার এক যুবক রাহুলকে পুলিশ ধরতে পারেনি। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy