তদন্তে আধিকারিক। —নিজস্ব চিত্র
ভুল রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কালনা শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকার একটি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির বিরুদ্ধে। পুরপ্রধান নিজেই স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার ওই ল্যাবরেটরিতে সমস্ত পরীক্ষা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেন মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক। এসিএমওএইচ চিত্তরঞ্জন দাস ওই নির্দেশের প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, কালনার মহকুমাশাসক, ডেপুটি সিএমওএইচ ১ এবং কালনার পুরপ্রধানকেও।
সন্ধ্যায় পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, ‘‘যাঁরা টাকা নিয়েও রোগীর জীবনে ঝুঁকি তৈরি করেছেন, সে সব ল্যাবরেটরির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। প্যাথলজিস্ট যে থাকেন না, মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিকের অভিযানেই তার প্রমাণ মিলেছে।’’
সম্প্রতি কালনার মহকুমাশাসকের দফতরে একটি বৈঠকে পুরপ্রধান অভিযোগ করেন, শহরে ব্যাঙের ছাতার মতো প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি গজিয়ে উঠেছে। তাদের অনেকেই নিয়মের তোয়াক্কা না করে রোগীর হাতে তুলে দিচ্ছে রিপোর্ট। বেশ কিছু ল্যাবরেটরিতে প্যাথলজিস্ট নেই, অথচ রিপোর্টে তাঁর সই থাকছে বলেও দাবি করেন তিনি। অভিযোগের সঙ্গে পূর্বস্থলীর পারুলিয়া এলাকার এক ব্যক্তির ভুল রক্ত পরীক্ষার নথিও জমা দেন তিনি। তাঁর মানসিক ও শারীরিক হয়রানির কথাও বলেন। কালনা শহরে স্বাস্থ্য দফতরের নিয়মিত অভিযানের দাবিও করেন।
এ দিন দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ চিত্তরঞ্জনবাবু আচমকা পৌঁছে যান ওই ল্যাবরেটরিতে। দেখা যায়, কোনও প্যাথলজিস্ট নেই। বেশ কিছু নথিপত্রও পরীক্ষা করে দেখেন তিনি। চিত্তরঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘কোনও প্যাথলজিস্টের দেখা পাইনি। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষকে শুনানিতে ডাকা হবে। তার পরে রিপোর্ট পাঠানো হবে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে।’’ নিয়মিত অভিযান প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘নতুন কোনও প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি খুললে তার পরিকাঠামো দেখা হয়। তবে নিয়মিত সমস্ত প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করা যায় এমন পরিকাঠামো নেই দফতরের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy