লন্ডভন্ড। স্কুলে। নিজস্ব চিত্র
গভীর রাতে একটি স্কুল ও ডাকঘরে পরপর লুটপাট চালাল দুষ্কৃতীরা। হিরাপুরের ঢাকেশ্বরীর ঘটনা।
ঢাকেশ্বরীর সূর্যনগর ডাকঘরের আধিকারিক রামপ্রসাদ সাও পুলিশকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত ২টো নাগাদ রক্ষী তমাল চক্রবর্তী ও তাঁর ছেলেকে বেঁধে লুটপাট চালায় মুখে কাপড় বাঁধা চার জন দুষ্কৃতী। দুষ্কৃতীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তমালবাবু পুলিশকে জানান, রাতে তিনি ডাকঘরের বারান্দায় শুয়ে ছিলেন। দুষ্কতীরা কোনও কথা না বলে প্রথমেই তাঁকে পিছমোড়া করে বেঁধে ফেলে। তার পরে ডাকঘরের তালা ভেঙে ভিতরে লুটপাট চালানো হয়। মিনিট দশেক বাদে বাবার খোঁজ নিতে ডাকঘরে আসেন ওই রক্ষীর বড় ছেলে টিঙ্কু। অভিযোগ, তাঁকেও একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে পিছমোড়া করে বেঁধে ফেলে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার খানিক বাদে ওই রাস্তা ধরেই হেঁটে যাচ্ছিলেন স্থানীয় আনাজ বিক্রেতা সুবল বসু। তাঁকেও পিছমোড়া করে বেঁধে ফেলা হয়। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ওই তিন জনেই ওই অবস্থায় পড়ে থাকেন। পরে দুষ্কৃতীরা চলে গিয়েছে বুঝে চিৎকার করেন তাঁরা। তা শুনে পড়শিরা তাঁদের উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন। তবে কী কী চুরি গিয়েছে, তা ডাকঘরের আধিকারিক জানাতে পারেননি, জানায় পুলিশ।
এই ডাকঘরের অদূরেই ঢাকেশ্বরী উচ্চমাধ্যমিক স্কুল। শুক্রবার সকালে এলাকাবাসী স্কুলের গেটের তালা ভাঙা দেখে প্রধান শিক্ষককে খবর দেন। তিনি স্কুলে পৌঁছন। খবর দেন পুলিশেও। প্রধান শিক্ষক রবীন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অপেক্ষাকৃত ফাঁকা জায়গায় স্কুলটি রয়েছে। কিন্তু এমন ঘটনা আগে ঘটেনি।’’ তিনি পুলিশকে জানান, তাঁর কার্যালয় ও অফিসঘরে থাকা প্রায় আটটি আলমারি ভাঙা হয়েছে। আলমারি থেকে কয়েক হাজার টাকা চুরি গিয়েছে। বেশ কিছু ফাইলও নষ্ট হয়েছে।
রবীনবাবু জানান, স্কুলে এক জন অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন। তবে বৃহস্পতিবার তিনি স্কুলে আসেননি। পুলিশ জানায়, ওই রক্ষীকে জেরা
করা হবে।
একই পাড়ায় এক রাতে পরপর দু’টি লুটপাটের ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। আসানসোল পুরসভার মেয়র পারিষদ লক্ষ্মণ ঠাকুর পুলিশের কাছে দ্রুত দুষ্কৃতীদের খুঁজে বার করার আর্জি জানান।
পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে প্রয়োজনীয় তথ্যও সংগ্রহ করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, দ্রুত দুষ্কৃতীরা ধরা পড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy