বৃষ্টি হলেই এমন হাল হয় গুসকরার কিছু এলাকার। নিজস্ব চিত্র।
তিন দশকের বেশি পার করেও সমস্যাই রয়ে গিয়েছে গুসকরা শহরের নিকাশি ব্যবস্থা, আবর্জনা, স্বাস্থ্য পরিষেবা। প্রতিনিয়ত এর ফল ভুগতে হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর একাংশের।
১৬ ওয়ার্ডের গুসকরা পুরসভার জনসংখ্যা ৪৫ হাজার ছুঁইছুঁই। আশপাশের গ্রাম থেকে মানুষজন এসে বাড়ি তৈরি করে বসবাস করতে শুরু করেছেন। ফলে দিনদিন জনসংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু নির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই ৮, ৯, ১২ নম্বর ওয়ার্ডগুলির মতো এলাকায় নিকাশির বেহাল ছবি ধরা পড়ে। বৃষ্টি হলে নর্দমার জল উপচে রাস্তায়, এমনকি ঘরেও ঢুকে যায় বলে অভিযোগ। কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যায়।
শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আবার পুরসভা থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে সার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্তূপাকৃতি আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ আশপাশের মানুষজন। স্টেশন রোডে ন’পুকুর এলাকায় রাস্তায় ডাঁই করে ফেলা হয় বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের আবর্জনা। গরু, কুকুরে তা রাস্তা জুড়ে ছড়ায়। পথচারীদের নাকে রুমাল চাপা দিয়ে ওই এলাকা পেরোতে হয়।
এ ছাড়াও রাস্তার ফুটপাত দখল করে ব্যবসা, রাস্তার ধারে নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখার অভিযোগ রয়েছে। নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড না থাকায় রাস্তাতেই দাঁড় করানো থাকে টোটো। তাতেও সমস্যা বাড়ে পথচারীদের। গুসকরা শহরে প্রায় আটশো টোটো চলাচল করে। কিন্তু নির্দিষ্ট কোনও রুট নেই। আর এক সমস্যা রেলগেটের যানজট।
গুসকরা শহরের অনেক পুকুর সংস্কারের অভাবে মজে যাচ্ছে। বেশ কিছু জলাশয়, নিচু এলাকা ভরাটের অভিযোগ উঠছে। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, এতে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে পড়ছে। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ‘আয়ের’ নামে একটি জলাশয় মজা নর্দমাতে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ।
বেশ কিছু ওয়ার্ডে পানীয় জল, পথবাতি, খন্দ রাস্তার সমস্যা রয়েছে। এলাকার একমাত্র সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র বিদ্যাসাগর মেমোরিয়াল হলটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। দমকেল কেন্দ্র না থাকায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে তা ভয়াবহ আকার নেয়।
পুরপ্রধান কুশল মুখোপাধ্যায় বলেন, “গুসকরার অবস্থানগত কারণে নিকাশির সমস্যা রয়েছে। মাস্টার প্ল্যান করে তা মেটানোর চেষ্টা চলছে। রাস্তার ধারে যে আবর্জনা ফেলা হয়, তা নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়। ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়েও কাজ চলছে।’’ তাঁর আরও দাবি, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ৩০ শয্যার করার ব্যাপারে উদ্যোগ করা হয়েছে। জমিজটে দমকল কেন্দ্র তৈরির কাজ আটকে আছে। পুকুর ভরাটের অভিযোগ পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy