রামপুরহাট রেলপথের উপরে থাকা এই রেলগেট নিয়েই সমস্যা। নিজস্ব চিত্র
রেলগেট দিনে একশো বারের বেশি ওঠানামা করে। এই দৃশ্য দেখা যায় রামপুরহাট রেলপথের অন্ডালের উখড়া-শঙ্করপুরে। এর জেরে নাকাল হতে হয় বলে জানিয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের দাবি, এখানে একটি উড়ালপুল তৈরি করা হোক। এই আবেদন জানিয়ে, সম্প্রতি পূর্ব রেলের ডিআরএম-এর কাছে ডাক বিভাগের মাধ্যমে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে দাবি রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা এজেন্ট সংগঠনের উখড়া শাখার।
অন্ডাল-রামপুরহাট রেল লাইনের উখড়া স্টেশনের অদূরে শঙ্করপুর রেলগেটটি রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উখড়া থেকে হরিপুর হয়ে রানিগঞ্জ ও হরিপুর থেকে অন্ডাল যাওয়ার জন্য অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর, জামুড়িয়া, দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের বাসিন্দাদের এই রেলগেট পার করতে হয়। এই রেলপথে দিনে ছয়টি লোকাল ও ১২টি মেল-এক্সপ্রেস ট্রেন যাতায়াত করে। এ ছাড়া, দিনে ৮০টির বেশি মালগাড়ি যাতায়াত করে। নিত্যযাত্রীরা জানান, স্বাভাবিক ভাবে দিনে একশো বারের বেশি রেলগেট ওঠানামা করে। ফলে, নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছনো যায় না। উখড়ার বাসিন্দা রামায়ণ সাউ, সোমনাথ রায়চৌধুরীরা জানান, রেলগেট এত বার ওঠানামার জেরে দুর্ভোগের শেষ নেই। উখড়া আদর্শ হিন্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রবীণ সিংহ জানান, পড়ুয়াদেরও ব্যাপক সমস্যা হয়। পরীক্ষার সময়ে অনেক আগে বাড়ি না বেরোলে, তাঁদেরও সমস্যায় পড়তে হয়। উখড়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রাজু মুখোপাধ্যয় বলেন, “রেলগেটে উড়ালপুল জরুরি। কারণ, স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে হলে দু’দিকের বাসিন্দাদের রানিগঞ্জ, অন্ডাল ও দুর্গাপুর যেতে হয়।” তাঁর দাবি, অভিযোগ, বছর দেড়েক আগে রেলগেটে আটকে পড়ায় এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, আবার পাণ্ডবেশ্বর, হরিপুর, জামুড়িয়া-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার আনাজ ব্যবসায়ীরা উখড়া হাটে আসেন বলে জানা গিয়েছে।রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা এজেন্ট সংগঠনের সদস্য কৃষ্ণ রায় জানান, তাঁরা সংগঠনের পক্ষ থেকে আসানসোল ডিভিশনের ডিআরএম-এর কাছে উড়ালপুলের আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। সমস্যার বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক অমিতাভ চট্টোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy