Advertisement
E-Paper

মিষ্টি-ফল নাগালে, ছেঁকা মাছে

মঙ্গলবার দুর্গাপুরের বিভিন্ন দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এ বার চাহিদা রয়েছে ‘সুইট রোল’, ‘পাটিসাপটা’, ‘চকলেট বল’, ‘কাজুর লাড্ডু’, ভাইফোঁটা লেখা সন্দেশের।

ভিড়: বাঁ দিকে, দুর্গাপুরে মিষ্টির একটি দোকানে। ডান দিকে, বার্নপুরে মাছের বাজার। ছবি: বিশ্বনাথ মশান ও পাপন চৌধুরী

ভিড়: বাঁ দিকে, দুর্গাপুরে মিষ্টির একটি দোকানে। ডান দিকে, বার্নপুরে মাছের বাজার। ছবি: বিশ্বনাথ মশান ও পাপন চৌধুরী

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২২ ০৮:৪৬
Share
Save

পর পর দু’বছর করোনা পরিস্থিতির জন্য ভাইফোঁটায় মিষ্টি বিক্রি সে ভাবে হয়নি। এ বার সেই খামতি সুদে-আসলে পুষিয়ে গেল বলে দাবি করেছেন দুর্গাপুর, আসানসোলের বিভিন্ন বাজারের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। বুধবার দোকানে দোকানে ক্রেতাদের লম্বা লাইন চোখে পড়েছে। জোগান দিতে হিমশিম খেয়েছেন দোকানের কর্মীরা।

মঙ্গলবার দুর্গাপুরের বিভিন্ন দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এ বার চাহিদা রয়েছে ‘সুইট রোল’, ‘পাটিসাপটা’, ‘চকলেট বল’, ‘কাজুর লাড্ডু’, ভাইফোঁটা লেখা সন্দেশের। কাজুর লাড্ডুর দাম প্রতি পিস ২০ টাকা। সুইট রোল, পাটিসাপটা, ভাইফোঁটা লেখা সন্দেশ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা করে। চকলেট বলের দাম প্রতি পিস ১২ টাকা। এ ছাড়া, অন্য সন্দেশ, রসগোল্লার দাম ৬ থেকে ১০ টাকার মধ্যে রয়েছে। সিটি সেন্টারের একটি মিষ্টির দোকানের মালিক উদয়চাঁদ দত্ত বলেন, “মিষ্টির দাম সেভাবে বাড়েনি। গতবারের মতোই দাম রয়েছে।” মিষ্টি কিনতে এসেছিলেন নন-কোম্পানি এলাকার বিশ্বদীপ রায়। তিনি বলেন, “চমচমের সঙ্গে চকলেট মিশিয়ে ‘চকলেট চমচম’ মিষ্টি তৈরি করা হয়েছে। খেয়ে দেখলাম, বেশ ভালই। চকলেট চমচম কিনেছি।”

বেনাচিতি, চণ্ডীদাস বাজারের বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে গিয়ে দেখা গেল, ক্রেতারা ভিড় করে রয়েছেন। দোকানের কর্মীরা জানান, এক এক জনের এক এক রকম মিষ্টির চাহিদা। জোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। তাঁরা জানিয়েছেন, দু’বছর করোনার পরে, এ বার যে ভাইফোঁটায় ক্রেতাদের ভিড় অনেক বেশি হবে, তা আগাম আঁচ করে রেখেছিলেন তাঁরা। তাই কিছু কিছু মিষ্টির বিপুল সম্ভার তৈরি রেখেছেন তাঁরা। একটি দোকানের কর্মী বিশ্বনাথ হালদার বলেন, “তবে সময় যত এগোবে তত পছন্দের মিষ্টি পাওয়ার সুযোগও কমতে থাকবে। কারণ, বিশেষ ধরনের মিষ্টির জোগান সীমিত। চাইলেই তৈরি করা সম্ভব হবে না। সেখানে সাধারণ সন্দেশ, রসগোল্লা প্রভৃতি মিষ্টি দ্রুত তৈরি করে ফেলা সম্ভব।”

ফলের বাজারেও সে ভাবে মূল্যবৃদ্ধি নজরে আসেনি বলে দাবি ক্রেতাদের। তাঁরা জানিয়েছেন, সাধারণত এ সময় আপেল ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। এ দিন গড়ে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সাধারণত কলা বিক্রি হয় ডজন ৬০ টাকা হিসাবে। এ দিনও একই দামে বিক্রি হয়েছে। অন্য ফলের দামও সামান্য বেড়েছে আর পাঁচটা দিনের তুলনায়। তবে আনাজের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। যেমন, ছোট ফুলকপি অন্যদিন বিক্রি হয় ৩০ টাকা পিস হিসাবে। এ দিন বিক্রি হয়েছে গড়ে ৫০ টাকা পিস। বেড়েছে মাছের দামও। অন্য দিন দেড় কেজি পর্যন্ত ওজনের রুই-কাতলা বিক্রি হয় ২০০ টাকা কেজি দরে। এ দিন বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকা দরে।

একই চিত্র আসানসোলের বিভিন্ন বাজারেও। বার্নপুর বাজারে ইলিশের হাজার টাকা থেকে ১,৪০০ টাকায় বিকোচ্ছে। কাতলা ২০০ থেকে ৩০০, রুই ২০০ থেকে আড়াইশো, চিংড়ি ৩০০ থেকে ৭০০, পমফ্রেট ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা। অন্য দিনের তুলনায় মাছের দাম কেজি পিছু ৫০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি রয়েছে। আসানসোল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নন্দদুলাল পালও জানান, ফলের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। খুব একটা বাড়েনি। শহরের একটি মিষ্টিদোকানের মালিক কৌস্তভ ভট্টাচার্য জানান, দুধ বা ছানার দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে, বিভিন্ন মিষ্টির দাম সামান্য বাড়লেও, ব্যাবসায় কোনও প্রভাব পড়েনি।

Price Hike Bhai Phota Fish sweet

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}