দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে। নিজস্ব চিত্র
পুজোর ছুটির পরে কাজে যোগ দিতে ফিরছিলেন বিহারের বেশ কিছু বাসিন্দা। বুধবার গভীর রাতে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্গাপুরের ওল্ড কোর্ট মোড় এলাকায় তাঁদের বাস হারিয়ে উল্টে যাওয়ায় মৃত্যু হল এক প্রৌঢ় যাত্রীর। আহত হয়েছেন আরও জনা চল্লিশ যাত্রী। দুর্ঘটনার পরে, বাসের চালক-খালাসি পালিয়ে যায়। তাদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
যাত্রীদের একাংশের দাবি, দুর্ঘটনার সময়ে চালকের বদলে খালাসি বাস চালাচ্ছিল। তার ঝিমুনি এসে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে তাঁদের ধারণা। দুর্ঘটনার পরে বিহারের জামুইয়ের বাসিন্দা রামানন্দ চৌহান (৫০) এবং আর এক যাত্রীকে গুরুতর জখম অবস্থায় গাঁধী মোড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় রামানন্দবাবুর। অন্য যাত্রীদের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যাত্রীরা জানান, বিহারের জামুই থেকে বাসটি কলকাতার বাবুঘাটে যাচ্ছিল। কারও বর্ধমান, কারও সিঙ্গুর, আবার কারও বাবুঘাটে নামার কথা ছিল। তাঁদের কেউ ইটভাটা, কেউ জরিশিল্প, কেউ অন্য ক্ষেত্রে শ্রমিকের কাজ করেন। পুজোর ছুটি কাটিয়ে কাজে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। আসানসোলের কাছে রাস্তার ধারে একটি হোটেলে রাতে খাওয়াদাওয়ার পরে, ফের বাস চলতে শুরু করে। ঘণ্টাখানেক পরে বিকট শব্দ ও তীব্র ঝাঁকুনিতে ঘুম ভেঙে যায় বলে জানান যাত্রীরা।
এক যাত্রী উমেশ মাঝি বলেন, ‘‘নওদা থেকে আসছি। ইটভাটায় কাজ করি। রাতে অনেকেই ঘুমোচ্ছিলেন। হঠাৎ বাস উল্টে গেল!’’ আর এক যাত্রীর কথায়, ‘‘মনে হল, ডিভাইডারে ধাক্কা মেরেছে বাস। কিছুটা বেসামাল অবস্থায় গিয়ে বাসটা উল্টে যায়। কোনও রকমে নিজে বেরিয়ে আসি। আরও কয়েকজনকে বার করে আনি। কিছুক্ষণের মধ্যে অ্যাম্বুল্যান্স আসে।’’ যাত্রীরা জানান, রাত আড়াইটে থেকে ৩টের মধ্যে দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাসটি চলছিল বেপরোয়া গতিতে চলছিল বলেও অভিযোগ অনেকের।
দুর্ঘটনার আওয়াজ পেয়ে আশপাশের বাসিন্দারা পৌঁছন। পুলিশও আসে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের জরুরি পরিষেবার অ্যাম্বুল্যান্স চলে আসে। বাসযাত্রীদের হাসপাতালে পাঠানোর উদ্যোগ হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল সুপার দেবব্রত দাস বলেন, ‘‘জখম যাত্রীদের চিকিৎসা চলছে। সবার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।’’ বাসটি উদ্ধার করে ফরিদপুর ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। চালক ও খালাসির খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy