Advertisement
E-Paper

সাফাইয়ের অভাবে মজে যাচ্ছে নালা, ভোগান্তি ২০টি পাড়ায়

বাসিন্দাদের দাবি, মানকরের রথতলা, হাটতলা, কুয়োতলা, চৌরঙ্গি-সহ বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘ দিন ধরে নর্দমা সাফাই হয়নি।

কলোনিপাড়ার নিকাশি নালা।

কলোনিপাড়ার নিকাশি নালা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৫৫
Share
Save

আশপাশের এলাকার মতো মানকর গ্রামেও দিন দিন জনবসতি বাড়ছে। কিন্তু নাগরিক পরিষেবার উন্নতি হচ্ছে না বলে অভিযোগ গ্রামের বাসিন্দাদের। তাঁরা জানান, বুদবুদের মানকর পঞ্চায়েতের এই গ্রামে পানীয় জলের পাশাপাশি, নিকাশি সমস্যাও রয়েছে। নিয়মিত নর্দমা সাফাই হয় না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। ফলে, সামান্য বৃষ্টিতেই এলাকার রাস্তাঘাটে জল জমে যায় বলে দাবি। পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানান, মাঝেমধ্যে নিকাশি নালাগুলি সাফাই করা হয়। পাশাপাশি, নাগরিকদের সচেতন হওয়ায় পরামর্শ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, মানকর গ্রামের জনসংখ্যা কুড়ি হাজারের বেশি। প্রায় ২০টি পাড়া রয়েছে। মানকরে রয়েছে একটি কলেজ, দু’টি উচ্চ বিদ্যালয়, গ্রামীণ হাসপাতাল, স্টেশন। কাজেই কর্মসূত্রে বসবাসের জন্য এই গ্রামে অনেকে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই গ্রামের অন্যতম সমস্যা নিকাশি। গ্রামের বেশির ভাগ জায়গায় পাকা নর্দমা রয়েছে। কিন্তু, নিয়মিত পরিষ্কার না করায় সেগুলি প্রায় মজে যেতে বসেছে।

বাসিন্দাদের দাবি, মানকরের রথতলা, হাটতলা, কুয়োতলা, চৌরঙ্গি-সহ বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘ দিন ধরে নর্দমা সাফাই হয়নি। এলাকার বাসিন্দা সুমিত মণ্ডল, অরিন্দম ঘোষেরা বলেন, “হাটতলা এলাকায় একটি জলের ট্যাঙ্ক রয়েছে। সেখানকার জল নিকাশি নালায় পড়ছে। তবে, ওই নিকাশি নালাটি সেখানেই শেষ হয়ে যাওয়ায় জল উপচে রাস্তা দিয়ে বইছে। ওই নোংরা জল ডিঙিয়েই সকলকে যাতায়াত করতে হয়।“ তাঁরা জানান, আবার রথতলা এলাকায় নালাগুলি দীর্ঘ দিন সাফাই হয়নি। চৌরঙ্গি এলাকার বাসিন্দা জয়গোপাল দে বলেন, “মানকরের সর্বত্র নিকাশির সমস্যা রয়েছে। সে সব জায়াগা মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হচ্ছে। অবিলম্বে সাফাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে।” মানকর কলোনি এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, পঞ্চায়েতের তরফে ব্যবস্থা না নেওয়ায়, নিজেরা উদ্যোহী হয়ে এলাকার নালা সাফাই করছেন।

যদিও মানকর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তন্ময় ঘোষ বলেন, “আমরা আস্তে আস্তে সব পরিষ্কার করছি। পাশাপাশি, স্থানীয় বাসিন্দাদেরও সচেতন হতে হবে। কারণ, প্লাস্টিক-সহ অন্য বর্জ্য ফেলা বন্ধ না করলে, নালাগুলি মজে যাবে। সে বিষয়ে সচেতন করতে প্রচারও
চালানো হচ্ছে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Mankar Budbud

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}