Advertisement
০৩ জানুয়ারি ২০২৫
Kali Puja

অভিযানে উদ্ধার বাজি, ধরপাকড়

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরের বাজিবাজার হিসেবে পরিচিত তেঁতুলতলা বাজার ও পার্কাস রোড এলাকায় দু’টি দোকানে হানা দিয়ে শেখ সাকির ও শেখ মুক্তার আলি নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

কালনায় উদ্ধার হওয়া বাজি। নিজস্ব চিত্র।

কালনায় উদ্ধার হওয়া বাজি। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২০ ০১:৪৬
Share: Save:

নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি বন্ধ করতে পূর্ব বর্ধমানের নানা জায়গায় অভিযান চালাল পুলিশ। বিপুল পরিমাণ বাজি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি, কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার কালনা ১ ব্লকের সিংরাইল গ্রাম থেকে তাপস দাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতের কাছ থেকে ২৫ কেজি শব্দবাজি উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের দাবি, ধৃত যুবক আগে নিজে বাজি তৈরি করতেন। এ বার অন্য জায়গা থেকে কিনে এনে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। শুক্রবার রাতে পূর্বস্থলীর ফলেয়া বাজার থেকে সুখেন দাস নামে এক যুবককে ধরেছে পুলিশ। বিশ্বরম্ভা এলাকার বাসিন্দা ওই যুবকের কাছে ১২ কেজি বাজি মিলেছে বলে পুলিশ জানায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরের বাজিবাজার হিসেবে পরিচিত তেঁতুলতলা বাজার ও পার্কাস রোড এলাকায় দু’টি দোকানে হানা দিয়ে শেখ সাকির ও শেখ মুক্তার আলি নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাকিরের দোকান থেকে প্রায় ৫৭ কেজি ও মুক্তারের দোকান থেকে প্রায় ৪৪ কেজি বাজি মিলেছে। ভাতার থানার পুলিশ খেড়ুর গ্রামে কল্যাণ বসু নামে এক ব্যক্তির মুদির দোকানে হানা দিয়ে ১৩ কেজি বাজি উদ্ধার করেছে। কল্যাণকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে তোলা হলে জামিন মঞ্জুর হয়েছে।

এ বার উৎসবের মরসুমে বাজি বিক্রি ও পোড়ানো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তার পরেই অভিযানে নেমেছে পুলিশ। ধরপাকড়ের পরে, শনিবার নানা এলাকায় বাজির দোকান খুলতে দেখা যায়নি। কালনা শহরের বাসিন্দা গোবিন্দ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কোর্টের নির্দেশের আগেই বহু দোকানে বাজি পৌঁছে গিয়েছে। ভয়ে বিক্রেতারা এখন হয়তো লুকিয়ে রাখছেন। তবে সুযোগ পেলেই চেনা ক্রেতাদের বাজি বিক্রি করতে পারেন তাঁরা। বাজি কেনাবেচা বন্ধ করতে গেলে পুলিশকে ধারাবাহিক অভিযান চালাতে হবে।’’

বাজি পোড়ানো বন্ধের আবেদন জানিয়ে শনিবার গুসকরা শহরে প্রচার চালায় পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের গুসকরা শাখা। মোড়ে-মোড়ে পথসভা করা হয়। ছিলেন গুসকরা বিজ্ঞান কেন্দ্রের সম্পাদক অমলকুমার দাস, বিষ্ণুপদ সিংহ, মণীন্দ্র সরেনরা।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কল্যাণ সিংহরায় বলেন, ‘‘নিষিদ্ধ বাজির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। যেখানে প্রচুর পরিমাণে বাজি রয়েছে বলে খবর মিলছে, সেখানেই অভিযান চালানো হচ্ছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Kali Puja Crackers Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy