বাঁ দিকে, ধৃতেরা। ডান দিকে, উদ্ধার হওয়া গাঁজা। নিজস্ব চিত্র
ভিন্ রাজ্যের ট্রাক থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধারের ঘটনার পুলিশ অসম এবং মণিপুরের তিন বাসিন্দা-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। রবিবার বিকেলে নিজস্ব সূত্রে খবর পেয়ে, পূর্বস্থলীর সুলুন্টু এলাকায় এসটিকেকে রোডে লরিটি আটক করেন রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা। উদ্ধার হয় ৭০টি প্লাস্টিকে মোড়া ৮২৪ কেজিরও বেশি গাঁজা।
পুলিশ জানায়, ওই ঘটনায় খাম্বি সিংহ, বুম্বা সিংহ, মতিলাল সিংহ, হরেকৃষ্ণ বালা এবং শুভঙ্কর বালা নামে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খাম্বির বাড়ি অসমে। বুম্বা এবং মতিলালের বাড়ি মণিপুরে। হরেকৃষ্ণ ও তাঁর ছেলে শুভর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর পারুলিয়া এলাকার শিবতলায়। পুলিশের দাবি, তদন্তে জানা গিয়েছে হরেকৃষ্ণ বালা মণিপুর থেকে গাঁজা আনাচ্ছিলেন।
সোমবার হরেকৃষ্ণ, শুভঙ্কর ও খাম্বিকে ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় এসটিএফ। তাঁদের ১১ দিন এসটিএফ-এর হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিশেষ আদালতের বিচারক নন্দন দেববর্মণ। বাকিদের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়।
স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা জানতে পারেন, রবিবার বিপুল পরিমাণ গাঁজা নিয়ে পূর্বস্থলীতে ঢুকছে একটি ট্রাক। গাঁজার প্যাকেটগুলি যাবে নবদ্বীপ বা পূর্বস্থলীর শিবতলা এলাকায়। এসটিকেকে রোডে হরেকৃষ্ণর বাড়ির কাছে সুলুন্টু এলাকায় ট্রাকটিকে আটক করে তল্লাশি চালান তাঁরা। উদ্ধার হয় গাঁজা। ওই ট্রাকেই ছিলেন ধৃত অসম ও মণিপুরের যুবকেরা। তাঁদের জেরা করে আটক করা হয় হরেকৃষ্ণ ও তাঁর ছেলে শুভঙ্করকে। জিজ্ঞাসাবাদের পরে, তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের জেরা করে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স জানতে পারে, ইম্ফলে একটি গাড়িতে গাঁজার প্যাকেটগুলি তোলা হয়েছিল। পরে, অসমের গুয়াহাটিতে অন্য একটি ট্রাকে সেগুলি স্থানান্তর করা হয়। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ট্রাকটি এসেছিল। ট্রাকের পিছনের অংশে রাখা হয়েছিল গাঁজার প্যাকেটগুলি। তার উপরে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল টিনের মোটা পাত।
পুলিশের দাবি, নির্দিষ্ট ঠিকানায় গাঁজার প্যাকেটগুলি পৌঁছে দেওয়াই ছিল মণিপুরের দুই বাসিন্দার কাজ। গাড়ি ছাড়ার পরে, তাঁদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছিলেন হরেকৃষ্ণ। ওড়িশা ও মণিপুর থেকে গাঁজা এনে কলকাতা, বনগাঁ, নদিয়া-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ‘এজেন্ট’দের গাঁজা সরবরাহ করতেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরেকৃষ্ণ ও তাঁর ছেলের একটি মার্কেট কমপ্লেক্স এবং হোটেল রয়েছে। পুলিশের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা গাঁজার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। বছর দু’য়েক আগে হরেকৃষ্ণ শিলিগুড়িতে গাঁজা-সহ ধরা পড়েন। ২০১৮-এ পূর্বস্থলী থানা তাঁকে গাঁজা-সহ গ্রেফতার করে। তার পরেও, ছেলেকে নিয়ে হরেকৃষ্ণ গাঁজার কারবার চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ।
সোমবার জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টি দেখছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।’’ তবে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকেরা ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেননি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy