ভাঙচুর হওয়া পুলিশের মোটরবাইক। শনিবার কেতুগ্রামে। নিজস্ব চিত্র
মাথায় হেলমেট নেই। কিন্তু মোটরবাইক ছুটছিল দ্রুত গতিতে। কাটোয়া-বোলপুর রাস্তায় এই অভিযোগে এক বাইক-চালককে আটকে জরিমানা আদায় করেছিল পুলিশ। কিন্তু পুলিশকর্মীরা তাঁকে হেনস্থা করেছেন, এমনকী থাপ্পড়ও মেরেছেন— এই অভিযোগে গ্রামের লোকজনকে নিয়ে ফিরে এসে রাস্তা অবরোধ করলেন ওই যুবক।
শনিবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের কোমরপুরে এই ঘটনা নিয়ে ধুন্ধুমার বেধে যায়। অবরোধ চলাকালীন ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের তিনটি মোটরবাইক ভাঙচুর করে জনতা। বিক্ষোভকারীদের পাল্টা দাবি, পুলিশ তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। ঘণ্টাখানেক ধরে চলা অবরোধে আটকে পড়ে বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের বহু বাস, গাড়ি। পুলিশ অবশ্য মারধর বা দুর্ব্যবহারের কোনও অভিযোগ মানতে চায়নি।
এ দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ মোটরবাইকে চড়ে বাজারে যাচ্ছিলেন কোমরপুরের যুবক ছোটন কর। পুলিশের দাবি, তিনি হেলমেট ছাড়াই প্রচণ্ড গতিতে মোটরবাইক ছোটাচ্ছিলেন। গোলপাকুড়তলা মোড়ে তাঁকে আটকান পুলিশকর্মীরা। কিন্তু ছোটন পাল্টা দাবি করেন, তাঁর আগে এক সিভিক ভলান্টিয়ার হেলমেট ছাড়াই মোটরবাইক নিয়ে গেলেন। তাঁকে আটকানো হয়নি। এ নিয়ে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বচসা বেধে যায় তাঁর। ছোটনের অভিযোগ, ‘‘আচমকা আমাকে থাপ্পড় মারেন এক পুলিশকর্মী।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় ফিরে ছোটন ঘটনার কথা জানান। তার পরেই পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্ব্যহারের অভিযোগ তুলে কোমরপুরের হাটতলায় রাস্তা অবরোধ করেন কয়েকশো লোক। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের তিনটি মোটরবাইক ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশের বড় বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক শেখ সাহানেওয়াজও ঘটনাস্থলে যান।
ছোটনের অভিযোগ, ‘‘আমার বাবাকে মারধর করেছে পুলিশ।’’ পরে তাঁর বাবা তপন করকে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে দুর্ব্যবহার বা মারধরের কোনও লিখিত অভিযোগ তাঁরা করেননি। বিধায়ক বলেন, ‘‘হেলমেট না পরে আর যাতে কখনও মোটরবাইক না চালান, সে কথা ওই যুবককে বোঝানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy