Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Bardhaman

পুরুষ সেজে নাবালিকার সঙ্গে প্রেম এবং অপহরণ! উদ্ধারের পরও বর্ধমানের অপহৃতাকে বাঁচানো গেল না

প্রথমে পুলিশ ভেবেছিল কোনও পুরুষ রয়েছে অপহরণের পিছনে। কিন্তু নাবালিকাকে উদ্ধার করতে গিয়ে দেখা যায় অপহরণকারী এক তরুণী। অভিযোগ, তিনি বিষ মেশানো পানীয় পান করিয়েছিলেন নাবালিকাকে।

kidnap

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ভাতার শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৪৫
Share: Save:

ছেলে সেজে নাবালিকাকে অপহরণের পর তাকে বিষ মেশানো পানীয় পান করানো হয়। পুলিশ অপহৃতাকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে। কিন্তু উদ্ধারের পরও প্রাণে বাঁচানো গেল না নাবালিকাকে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয় তার। এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের খেড়ুর গ্রামে।

তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, খেড়ুর গ্রামের বাসিন্দা ওই নাবালিকা বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী সপ্তাহ খানেক আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। তার খোঁজ না পেয়ে পরিবারের লোকজন অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে মোবাইলের সূত্র ধরে দেওয়ানদিঘি থানা এলাকা থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি গ্রেফতার হন গীতা দাস নামে বছর উনিশের এক তরুণীকে।

পরিবারের অভিযোগ ছিল তাদের মেয়েকে এক যুবক অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে। পুলিশেরও তাই ধারণা ছিল। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, প্রেমের ফাঁদে ফেলে কোনও যুবক কিশোরীকে অপহরণ করেন। কিন্তু অভিযান চালানোর পর পুলিশ জানতে পারে গীতা দাস নামে ওই তরুণী ছেলে সেজে নাবালিকাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যান। পুলিশের সন্দেহ, তরুণীকে পাচারের ছক কষে নিয়ে গিয়েছিলেন গীতা। গত বুধবার নাবালিকাকে উদ্ধার করে আনে ভাতার থানার পুলিশ। অভিযুক্তা জেল হেফাজতে। কিন্তু অসুস্থ ওই নাবালিকাকে প্রাণে বাঁচানো যায়নি।

মৃতার বাবার কথায়, ‘‘মেয়েকে পুলিশ উদ্ধার করে আনার পর থেকেই দেখি ও খুবই অসুস্থ। প্রথমে ভাতার হাসপাতালে নিয়ে যাই। শুক্রবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয় ওকে। তখনই চিকিৎসকেরা জানান যে, আমার মেয়েকে বিষ খাওয়ানো হয়েছে। মেয়েকে জিজ্ঞাসা করায় সে জানায় পুলিশ উদ্ধার করে আনার আগে গীতা জোর করে ঠান্ডা পানীয় খাইয়েছিল। তাতে কিছু মেশানোও ছিল। ওই বিষক্রিয়াতেই আমার মেয়ে মারা গেল।’’ বলতে বলতে ডুকরে কেঁদে ফেলেন তিনি।

নাবালিকার পরিবারের দাবি, এই ঘটনায় যথাযথ তদন্ত করে দোষীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক পুলিশ। অন্য দিকে, নাবালিকার অপমৃত্যুর ঘটনায় খেড়ুর গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গ্রামবাসীরাও ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তদন্ত চলছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Kidnapping Minor Girl Kidnap Death Crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy