ফাইল চিত্র
একশো শয্যার ‘প্রি-কোভিড’ হাসপাতাল তৈরি হবে কালনায়, এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু সেই পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে, রবিবার কালনা মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা তা জানা গিয়েছে। কবে এই হাসপাতাল চালু হতে পারে, তা জানাতে পারেননি স্বাস্থ্যকর্তারা।
কালনা মহকুমার পাঁচ ব্লকেই করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ এলেই আক্রান্তকে পাঠানো হচ্ছে প্রায় একশো কিলোমিটার দূরে দুর্গাপুরের এক হাসপাতালে। ফলে, রোগী এবং স্বাস্থ্যকর্মী— সবাইকেই হয়রান হতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কালনায় একটি ‘প্রি-কোভিড’ হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
কালনা মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের একটি অংশে দু’টি ওয়ার্ডকে সরিয়ে গড়া হবে ওই হাসপাতাল। দ্রুত যাতে সেটি চালু হয় সে জন্য জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায়-সহ স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল কালনায় ঘুরে যায়। কোথায় কত শয্যা রাখা হবে, কী ভাবে রোগীদের পৃথক রাস্তা দিয়ে ‘প্রি-কোভিড’ হাসপাতালে আনা হবে, দ্রুত হাসপাতালটি চালুর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কী লাগবে, সে ব্যাপারে পরিকল্পনা করেন। পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যকর্তারা জানান, দ্রুত চালু করা হবে ‘প্রি-কোভিড’ হাসপাতাল।
মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, যে জায়গায় ‘প্রি-কোভিড’ হাসপাতালটি যেখানে গড়ার কথা ছিল, তার আশপাশে রয়েছে এসএনসিইউ, এইচডিইউ-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিভাগ। ফলে, এই সমস্ত বিভাগে কোনও ভাবে যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্যই ওই জায়গায় ‘প্রি-কোভিড’ হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই বলেন, ‘‘হাসপাতালের ভিতরে ‘প্রি-কোভিড’ হাসপাতাল গড়ার পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। এর পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেমন নির্দেশ দেবেন, তা পালন করা হবে।’’ কালনা মহকুমার এক জনপ্রতিনিধির কথায়, ‘‘কাছাকাছি যেহেতু হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড রয়েছে, তাই অনেকের সেখানে ‘প্রি-কোভিড’ হাসপাতাল তৈরিতে আপত্তি রয়েছে। সেক্ষেত্রে অন্য এলাকায় তৈরির কথা ভাবা যেতে পারে।’’
এ দিন কালনা হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন পূর্বস্থলী দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এসএনসিইউ এবং এইচডিইউ বিভাগের মাঝামাঝি যে ফাঁকা জায়গা রয়েছে সেখানে শ’খানেক তুলসি গাছ রোপণের প্রস্তাব দিয়েছেন মন্ত্রী। দিন সাতেক পরে সেই কাজের সিদ্ধান্ত হয়েছে। হাসপাতালের সুপার বলেন, ‘‘এ ছাড়াও হাসপাতাল চত্বরে আরও কয়েকটি জায়গায় আমরা ভেষজ উদ্যান তৈরির চেষ্টা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy