বিভিন্ন আশ্রম, প্রাচীন মসজিদ থেকে নানা জলাশয়— ঘুরে দেখার জায়গা রয়েছে বেশ কিছু। কিন্তু পর্যটক টানার বিশেষ উদ্যোগ হয়নি। পূর্বস্থলী ১ ব্লককে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে এক কোটি ৩৪ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্পের পরিকল্পনা পাঠানো হল রাজ্য পর্যটন দফতরে। এলাকার পাঁচটি দর্শনীয় স্থানের সংস্কার এবং সৌন্দর্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে এই প্রস্তাব।
শ্রীচৈতন্যের স্মৃতি বিজড়িত নানা স্থান রয়েছে এই এলাকায়। সারঙ্গ মুরারী আশ্রম, কপিল মুনির আশ্রম, জাহান আলি খাঁ-র আমলের প্রাচীন মসজিদ-সহ নানা পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে। পর্যটন মানচিত্রে যাতে সেগুলি স্থান পায় এবং পর্যটকেরা জানতে পারেন এ সবের কথা, সে জন্য প্রায় দেড় দশক আগে উদ্যোগী হন বর্তমানে রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। পূর্বস্থলীর নিদর্শনগুলির তথ্যচিত্র গ্রামে-গ্রামে দেখান। তাঁর উদ্যোগে এলাকার নিদর্শনগুলি নিয়ে তৈরি হয় একটি অ্যালবামও। এর পরে কখনও পর্যটন মন্ত্রী রচপাল সিংহ, কখনও কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী, আবার কখনও গৌতম দেবের কাছে এলাকার দর্শনীয় ১৪টি স্থানের সংস্কার এবং সৌন্দর্যায়নের আর্জি জানান স্বপনবাবু।
মহকুমার সদর শহর কালনায় নানা পুরতাত্ত্বিক নির্দশন রয়েছে। সেগুলি দেখতে বছরভর দেশ-বিদেশের পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। পূর্বস্থলীতেও নানা নির্দশনে সে ভাবে পর্যটক টানা যায় বলে প্রশাসনের কর্তারা মনে করেন। বছর তিনেক আগে পর্যটন দফতরের অর্থে সংস্কার করা হয় শ্রীরামপুরের প্রাচীন গোপীনাথ মন্দিরের। এলাকার দ্রষ্টব্য জায়গাগুলির সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি প্রাচীন বাঁশদহ বিল এবং মুড়িগঙ্গার জলাশয় ঢেলে সাজিয়ে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলায় জোর দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে বাঁশদহ বিলের পাশে তৈরি করা হয়েছে পর্যটকদের জন্য আবাস, সেতু, রাস্তা। দুই জলাশয় ঘিরে নানা পরিকল্পনায় খরচ হচ্ছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি পর্যটন দফতর থেকে পাঁচটি দর্শনীয় স্থানের জন্য একটি পরিকল্পনা পাঠাতে বলা হয়। এর পরেই জাহান্নগর পঞ্চায়েতের তপোবন মন্দিরের জন্য প্রায় সাড়ে ২৫ লক্ষ টাকা, খনকারতলার মাজার ও মাগনপুর মসজিদের জন্য প্রায় ৬২ লক্ষ টাকা, ভক্তিভাণ্ডার মন্দিরের জন্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা, সমুদ্রগড়ের সাধুর আশ্রম মন্দিরের জন্য প্রায় সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা ও জাহান্নগরের সুলুন্টু মসজিদের প্রায় ১৩ লক্ষ টাকার পরিকল্পনা পাঠানো হয়েছে। মহকুমাশাসক (কালনা) নীতিন সিংহানিয়া বলেন, ‘‘পূর্বস্থলী ১ ব্লকের পাঁচটি পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন নিয়ে পরিকল্পনা পাঠানো হয়েছে। পর্যটন দফতর অনুমোদন করলেই কাজ শুরু হবে।’’
স্বপনবাবু বলেন, ‘‘এলাকার নানা জায়গায় পর্যটকদের থাকার জন্য ইতিমধ্যে কয়েকটি আবাস তৈরি হয়েছে। ধাপে-ধাপে সমস্ত দর্শনীয় জায়গাগুলি ঢেলে সাজা হবে।’’ পূর্বস্থলী ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিকের কথায়, ‘‘এ সব ঘুরে দেখার পাশাপাশি পর্যটকেরা বাঁশদহ ও মুড়িগঙ্গা জলাশয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy