ভাঙা হচ্ছে নির্মাণ। নিজস্ব চিত্র
‘বেআইনি’ নির্মাণ ভাঙতে অভিযানে নামলেন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা (ডিএসপি) কর্তৃপক্ষ। সোমবার দুর্গাপুরের ভগৎ সিংহ মোড় লাগোয়া এলাকার অভিযান চলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘বেআইনি’ ভাবে গজিয়ে ওঠা বেশ কয়েকটি কংক্রিটের দোকানঘরের পাশাপাশি, বাঁশের তৈরি অস্থায়ী দোকানও ভেঙে ফেলা হয় এ দিন। এই উচ্ছেদ অভিযানে সিআইএসএফ, দুর্গাপুর থানার পুলিশ এবং মহকুমা প্রশাসনের তরফে এগজ়িকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন। যদিও ব্যবসায়ী সমিতির অভিযোগ, আগাম কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই এ দিন অভিযান চালানো হয়। ফলে, ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ডিএসপি কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, নির্মাণের সময়েই তাঁদের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও রাতারাতি নির্মাণকাজ করা হয়।
ডিএসপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভগৎ সিংহ মোড় লাগোয়া এলাকায় অবৈধ ভাবে বেশ কিছু দোকানঘর গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ আসছিল। অভিযোগ, ডিএসপির জমি দখল করে অবৈধ ভাবে দোকান করা হচ্ছিল। এমনকি, রাতের অন্ধকারে ত্রিপল টাঙিয়ে কংক্রিটের ঘরও বানানো হচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, মূল রাস্তার ধারে পরপর ‘অবৈধ’ ভাবে স্টল তৈরির প্রক্রিয়া বেশ কিছু দিন আগেই শুরু হয়েছিল।
এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, মূল রাস্তার ধারে যে জমি নিয়ে বিতর্ক, তা এক সময় ফাঁকা ছিল। প্রাথমিক ভাবে রাস্তার একেবারে গায়ে গুমটি ও অস্থায়ী দোকান তৈরি করা হয়। ফলে, সেগুলির পিছনের জমিতে কী হচ্ছে তা রাস্তা থেকে বোঝা যেত না। এই সুযোগে ত্রিপল টাঙিয়ে রাতের অন্ধকারে চলত নির্মাণ। অভিযোগের ভিত্তিতে এ দিন তেমনই প্রায় ১৩টি কংক্রিটের দোকান ঘর ভেঙেছেন ডিএসপি কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, বাঁশ দিয়ে তৈরি আরও ২০টি অস্থায়ী স্টলও ভেঙে দেওয়া হয়।
এ দিনের অভিযানের বিরোধিতা করে এলাকার ব্যবসায়ী কমিটির সম্পাদক শিবচন্দ্র ঠাকুর দাবি করেন, ‘‘প্রায় ২০ বছর ধরে এই এলাকায় দোকানগুলি রয়েছে। ২০১৭ সালে রাস্তা সম্প্রসারণের সময়ে দোকানগুলি স্থানান্তরের জন্য বৈঠক হয় মহকুমাশাসকের দফতরে। অথচ, কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই এ দিন অভিযান চালানো হল। মহকুমা প্রশাসনের কাছে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানিয়েছি।’’ এ বিষয়ে মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) অর্ঘ্যপ্রসূন কাজি বলেন, ‘‘ঘটনাস্থলে এগজ়িকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে পাঠানো হয়েছিল। ব্যবসায়ীদের দাবিটিও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’’ অভিযান প্রসঙ্গে ডিএসপির মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বেদবন্ধু রায় বলেন, ‘‘অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা হয়েছে। আরও যাঁদের এ ধরনের নির্মাণ আছে, তাঁরা যেন নিজেদের সামগ্রী সরিয়ে ফেলেন। অভিযান চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy