রাস্তার এক পাশ খোলা রেখে অন্য পাশে চলছে মেরামতের কাজ। ছবি: বিকাশ মশান।
আশঙ্কা ছিল, দাঁড়িয়ে থাকতে হবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। দুর্গাপুর ব্যারাজের রাস্তা সংস্কারের কারণে যান নিয়ন্ত্রণের জেরে সোমবার সকাল থেকে খানিক অপেক্ষা করতে হল ঠিকই, তবে যতটা দুর্ভোগ হবে বলে মনে করেছিলেন, তা হয়নি বলে দাবি যাত্রীদের।
আপাতত পাঁচ দিন কাজ চলবে ব্যারাজের রাস্তায়। সে জন্য বাঁকুড়া ও দুর্গাপুর, দু’দিকেই যান নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। রাস্তার এক পাশ বন্ধ রেখে অন্য পাশে কাজ করা হচ্ছে। খোলা অংশ দিয়ে ধীর গতিতে চলেছে বাস ও অন্য ছোট গাড়ি। বাঁকুড়ার বড়জোড়া থানা ও দুর্গাপুরের কোকআভেন থানার পুলিশকর্মী এবং সিভিক ভলান্টিয়ারেরা এ দিন সকাল থেকে যান নিয়ন্ত্রণে নামেন।
এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, দুর্গাপুরের দিকে ব্যারাজে ওঠার ২০০ মিটার দূরে এক দফা যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এর পরে ব্যারাজের ১০-১৫ মিটার দূরে আর এক বার নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রয়েছে। সব শেষে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে ব্যারাজের উপরে ২৭ নম্বর গেটের কাছে। কাজ হচ্ছে ২৮ নম্বর গেট থেকে। যানজট সে ভাবে না হলেও যাতায়াতে সময় লাগছে অন্য দিনের তুলনায় বেশ কিছুটা বেশি। যদিও সে নিয়ে তেমন ক্ষোভ নেই যাত্রীদের।
দুর্গাপুর থেকে মোটরবাইকে বড়জোড়া যাতায়াত করেন শুভেন্দু রায়। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘অল্প যানজট হয়তো হচ্ছে। কিন্তু কড়া হাতে যান নিয়ন্ত্রণ হওয়ায় খুব ভোগান্তি হচ্ছে না। বাড়ি থেকে আগেভাগে বেরিয়েছি। দীর্ঘ অপেক্ষার পরে কাজ হচ্ছে। কয়েক দিন একটু কষ্ট ভোগ করতে রাজি আছি।’’ বাসের যাত্রী অন্বেষা রায়, সুজিত মণ্ডলেরা বলেন, ‘‘যাতায়াত তো পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তাই তেমন কোনও সমস্যা হচ্ছে না।’’ গাড়ি নিয়ে বিষ্ণুপুর থেকে দুর্গাপুরে যাচ্ছিলেন বিষ্ণুপুরের বৈলাপাড়ার শ্যামসুন্দর নন্দী। তিনি বলেন, “তীব্র যানজটে পড়ব বলে আশঙ্কা করেছিলাম। যাওয়ার সময়ে মিনিট কুড়ি, ফেরার সময়ে দশ মিনিট আটকে ছিলাম। যতটা ঝঞ্ঝাট হবে ভেবেছিলাম, তা হয়নি।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যেহেতু ব্যারাজের এক পাশ খোলা রয়েছে, সে জন্য যান নিয়ন্ত্রণে ‘রোটেশন’ পদ্ধতি নিতে হচ্ছে। দশ মিনিট বাঁকুড়ার দিক থেকে যানবাহন আসছে। এর পরে সে দিকের গাড়ি আটকে পরের ১০ মিনিট দুর্গাপুরের দিক থেকে যানবাহন যাচ্ছে। ব্যারাজের উপরে সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটার গতিতে বাস, গাড়ি, ভ্যান, মোটরবাইক, সাইকেল যাতায়াত করছে। পণ্যবাহী গাড়ি আটকে দেওয়ায় যানজট এড়ানো গিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। বাঁকুড়া হয়ে ওড়িশা থেকে কাঁচামাল আসে দুর্গাপুরের বেশ কিছু কারখানায়। ব্যারাজে পণ্যের গাড়ি চলায় নিষেধের জেরে তা আসতে অসুবিধা হচ্ছে বলে জানান একাধিক কারখানা কর্তৃপক্ষ।
বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, “ব্যারাজে যাতে যানজট না হয় তা দেখার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। এ ছাড়া ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশের সঙ্গে আমরা সমন্বয় রেখে কাজ করছি। ওই সব জেলা থেকেও বেশি সংখ্যক গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার ফলে বাঁকুড়ার অন্যত্রও যানবাহনের চাপ বিশেষ ছিল না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy