ময়ূরের ডিম। নিজস্ব চিত্র।
বংশবৃদ্ধির জন্য জঙ্গলে ময়ূরের ডিম পাহারা দিচ্ছেন পূর্ব বর্ধমানের বনকর্মীরা। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আউশগ্রামের আদুরিয়া জঙ্গলে বেশ কয়েক জায়গায় ময়ূরের ডিম দেখা গিয়েছে। ডিমগুলি যাতে কেউ চুরি বা নষ্ট করতে না পারে, তাই পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সাধারণত মার্চ-এপ্রিল মাসে স্ত্রী ময়ূর এক সঙ্গে চার থেকে সাতটি ডিম পাড়ে। ডিমগুলি হালকা বাদামি রঙের হয়। প্রতিটি ডিম তিন ইঞ্চি লম্বা ও দু’ইঞ্চি চওড়া হয়। ডিম ফুটে বাচ্চা হতে ২৬ থেকে ৩০ দিন সময় লাগে। বন দফতরের দাবি, স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ শুকনো পাতা কুড়োতে নিয়মিত জঙ্গলে ঢোকেন। জঙ্গলের যে অংশে ডিমগুলি দেখা গিয়েছে, সেখানে পাতা কুড়োনো বন্ধ করা হয়েছে। বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের দাবি, আউশগ্রামের আদুরিয়ার জঙ্গলে অনুকুল পরিবেশ পেয়ে ময়ূরের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। আগের থেকে জঙ্গলে বন্যপ্রাণী শিকার বন্ধ এবং আগুন লাগার ঘটনা কমা এই বংশবৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন তাঁরা। বন দফতরের এক আধিকারিকের দাবি, মুরগির ডিম ভেবে ওই ডিম যাতে কেউ নিয়ে চলে না যান বা কোনও ক্ষতি না হয়, তা দেখতে নজরদারি চালানো হচ্ছে। মানুষের আওয়াজ পেলে ময়ূর কোনও ভাবে সে এলাকায় ঢোকে না। সে ক্ষেত্রে ডিমে তা দিতে অসুবিধা হতে পারে। তাই ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াতও সাময়িক ভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
বর্ধমান বনবিভাগের সহকারী বনাধিকারিক সোমনাথ চৌধুরী বলেন, ‘‘আদুরিয়ার জঙ্গলে বেশ কয়েক জায়গায় ময়ূরের ডিম আমাদের নজরে এসেছে। জঙ্গলে ময়ূরের সংখ্যা বাড়াতে ২৪ ঘন্টাই ডিমগুলি নজরদারির মধ্যে রাখছেন আমাদের কর্মীরা। যৌথ বন সুরক্ষা কমিটির সদস্য থেকে জঙ্গল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের জঙ্গলকে আগুন থেকে রক্ষা এবং শিকার বন্ধে বনাধিকারিক নিজে গিয়ে সচেতন করেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy