হাসপাতাল থেকে বেরলেও তেরো দিন পরেও বাড়ি ফেরেননি বছর আটত্রিশের রুমা মাঝি। প্রতীকী ছবি।
দু’সপ্তাহ আগে সাপে কাটা রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন পরিজনেরা। অভিযোগ, সে দিনই সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হন তিনি। এত দিনেও তাঁর খোঁজ মেলেনি। পরিবারের দাবি, হাসপাতালের গাফিলতিতেই এমনটা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার কাটোয়ার মহকুমাশাসকের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই মহিলা নিজেই চলে গিয়েছেন। নিয়ম মেনে ওই দিনই থানায় জানানো হয়েছিল বিষয়টি।
কাটোয়ার বিজয়নগর গ্রামের বাসিন্দা কার্তিক মাঝির অভিযোগ, ৭ জুলাই মাঠে শৌচকর্ম করতে গিয়ে সর্পদষ্ট হন তাঁর স্ত্রী, বছর আটত্রিশের রুমা মাঝি। ওই দিনই রুমাদেবীকে কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন পেশায় খেতমজুর কার্তিকবাবু। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ভর্তির পরে ওকে খাইয়ে, কথা বলে এসেছি। পরের দিন সকালে গিয়ে দেখি হাসপাতালের ওই বিছানায় রুমা নেই।’’ বিষয়টি সঙ্গেসঙ্গেই ওয়ার্ড মাস্টারকে জানান কার্তিকবাবু। তাঁর অভিযোগ, ওয়ার্ড মাস্টার জানান সন্ধ্যাতেই স্ত্রী হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বেরলেও তেরো দিন পরেও বাড়ি ফেরেননি তিনি। কার্তিকবাবুর দাবি, প্রতিদিনই হাসপাতালে এসে খোঁজখবর করেছেন তিনি। স্ত্রীর হদিস পেতে স্টেশন, বাসস্ট্যান্ডেও নিয়মিত ঢুঁ মেরেছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। হাসপাতালের তরফেও কোনও সাহায্য করা হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। অগত্যা মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হন তিনি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যদিও দাবি, নিয়মমাফিক রুমাদেবীর নিখোঁজের বিষয়টি কাটোয়া থানায় জানানো হয়েছে।
এ ভাবে রোগী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোগীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, হাসপাতালে সাত নিরাপত্তারক্ষী আছেন। রয়েছে পর্যাপ্ত সিসিটিভির ব্যবস্থা। তারপরেও সকলের নজর এড়িয়ে এক জন চিকিৎসাধীন রোগীর হাপাতালের ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়া কী ভাবে সম্ভব।
সহকারী সুপার অনন্য ধর বলেন, ‘‘সাত দিনের পুরনো ছবি পাওয়া যায় সিসিটিভি ফুটেজ থেকে। তার আগের ছবি পাওয়া সম্ভব নয়।’’ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন কাটোয়ার মহকুমাশাসক সৌমেন পাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy