কাটোয়ায় ভাগীরথীতে সতর্কবার্তা। নিজস্ব চিত্র asitkatwaabp@gmail.com
দুর্ঘটনা রুখতে অনেক আগেই প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছিল, লাইফ জ্যাকেট ছাড়া কোনও যাত্রী নৌকায় উঠতে পারবেন না। বছর পাঁচেক আগে কাটোয়া মহকুমা প্রশাসনের তরফে নানা ফেরিঘাটে এ নিয়ে প্রচারও চলেছিল। প্রতিটি নৌকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয়েছিল। চিত্র বলছে, নির্দেশ অমান্য হয় অবিরত।
এখন ভাগীরথীতে জলের স্তর বাড়ছে। তবু প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই যাত্রীরা নৌকায় চাপছেন। কোনও নৌকাতেই লাইফ জ্যাকেট থাকে না বলে অভিযোগ যাত্রীদের। ফেরিঘাটের ইজারাদার ও মাঝিদের দাবি, বারবার বলা সত্ত্বেও যাত্রীরা লাইফ জ্যাকেট পরতে চান না। প্রচুর জ্যাকেট পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যাত্রীদের একাংশের দাবি, জ্যাকেটগুলি পরিষ্কার করা হয় না। সেগুলি ব্যবহারের অনুপযুক্ত। সে কারণেই বেশির ভাগ যাত্রী জ্যাকেট পরতে চান না। বিষয়টি নজরে এসেছে কাটোয়া পুরসভা ও মহকুমা প্রশাসনের।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া মহকুমার নানা প্রান্তে অজয় ও ভাগীরথীর নদী পারাপারের ফেরিঘাট রয়েছে। সকাল হতে না হতেই ওই ঘাটগুলিতে যাত্রী উপচে পড়ে। হাজার হাজার যাত্রী ফেরি পরিষেবা ব্যবহার করেন। কেতুগ্রামের শাঁখাই, উদ্ধারণপুর, কালীবাড়ি, বল্লভপাড়া, মাটিয়ারি ও অগ্রদ্বীপ ফেরিঘাটে যাত্রীদের ভিড় বেশি হয়। নৌকায় ঠাসাঠাসি ভিড় দেখা যায়।
প্রবীর সাহা নামে এক যাত্রী শাঁখাই ফেরিঘাটে দাঁড়িয়ে বলেন, “আমরা লাইফ জ্যাকেট পরেই নৌকায় চাপতে চাই। আগে লাইফ জ্যাকেট থাকত। বছর খানেক ধরে নৌকায় আর তা দেখা যায় না। ঝুঁকি নিয়েই নদী পারাপার করা ছাড়া কোনও উপায় থাকে না।” নদিয়ার বল্লভপাড়া গ্রাম থেকে প্রতিদিনই নদী পেরিয়ে কাজের তাগিদে কাটোয়া আসেন জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, “আগে নৌকার এক ধারে ডাঁই হয়ে অপরিষ্কার লাইফ জ্যাকেট পড়ে থাকতে দেখা যেত। এখন দেখা যায় না। প্রশাসনের নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে না। যাত্রীরা লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই নদী পারাপার করছেন। এখন নদীতে জল বেশি। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছেই।”
কাটোয়ার পুরপ্রধান সমীর সাহা বলেন, “বিষয়টি আমাদেরও নজরে এসেছে। আসলে অনেক যাত্রীই প্রশাসনের নির্দেশ মানতে চান না। তবে লাইফ জ্যাকেট পরে যাতে সকলে নৌকায় চাপেন তা ফেরিঘাটের ইজারাদারদের দেখতে বলা হবে।” মহকুমাশাসক (কাটোয়া) অর্চনা পন্ধরিনাথ ওয়াংখেড়ে বলেন, “লাইফ জ্যাকেট ছাড়া নৌকায় ওঠা উচিত নয়। ফের সচেতনতা
প্রচার চালাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy