নতুনহাটের গ্রন্থাগারে বৈঠকে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র
সরকারি গ্রন্থাগারে দলীয় কর্মসূচি পালনের অভিযোগ উঠল মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বিরুদ্ধে। করোনা ও ‘আমপান’ নিয়ে বিরোধীরা অপপ্রচার করছে, এই অভিযোগে জেলার নানা এলাকাতেই সাংবাদিক বৈঠক করছেন বিধায়কেরা। মঙ্গলবার মঙ্গলকোটের নতুনহাট মিলন পাঠাগারে বিধায়কের এই কর্মসূচির প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে দলের একাংশও। যদিও মন্ত্রীর দাবি, এর মধ্যে তিনি অন্যায়ের কিছু দেখেছেন না।
এ দিনই সকালে একই বিষয় নিয়ে আলাদা বৈঠক করেন মঙ্গলকোটের ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীও। পৃথক বৈঠক করে বিধায়ক ও জেলা সভাপতি, দু’জনই একই সুরে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন। তবে দু’জনেরই দাবি, দলের তরফে এই বৈঠক করার দায়িত্ব তাঁকেই দেওয়া হয়েছে।
এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ নতুনহাটের ওই গ্রন্থাগারের হলঘরে বৈঠক করেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা। কর্মীদের তিনি পারস্পরিক দূরত্ব রাখার কথা বারবার মনে করিয়ে দেন। সেই সময়ে গ্রন্থাগারের দোতলায় গ্রন্থাগারিক নিজের টেবিলে বসে ছিলেন। অন্য কর্মীরা পাঠকদের বই দেওয়া-নেওয়া করছিলেন। মন্ত্রী নানা বিষয় নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণের পাশাপাশি, গত প্রায় চার বছরে এলাকার নানা উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ানও তুলে ধরেন।
সিদ্দিকুল্লা বলেন, ‘‘কে, কী করছে, তা বলতে পারব না। তবে দল আমাকে এই কর্মসূচি পালনের দায়িত্ব দিয়েছে।’’ সরকারি গ্রন্থাগারে দলীয় কর্মসূচি পালন করা প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘দলীয় কর্মসূচি হলেও এটা সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান। এখানে তো ভোট চাইনি। দলীয় দফতরগুলিতে বড় ঘর না থাকায় সামাজিক দূরত্ব রেখে এই বৈঠক করা মুশকিল। তাই এখানে করেছি।’’
ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘মন্ত্রী এলাকায় পরিযায়ীর মতো আসেন। তাই হয়তো জানেন না, আমাদের এখানে বড় হলঘর রয়েছে, এমন কয়েকটি পার্টি অফিস আছে। দল আমাকে দায়িত্ব দেওয়ায় আমি নিজেদের কার্যালয়েই বৈঠক করেছি। কেন মন্ত্রী সরকারি গ্রন্থাগারে দলের কথা বলতে গেলেন, তা তিনিই বলতে পারবেন।’’
মঙ্গলকোটের বিজেপি নেতা রানাপ্রতাপ গোস্বামীর অভিযোগ, ‘‘সরকার ও দলকে সমান পর্যায়ে নামিয়ে এনেছেন তৃণমূল নেতারা। তাই সরকারি গ্রন্থাগারে দলীয় কর্মসূচি পালন করেছেন। গ্রন্থাগারিকের কাছে জানতে চাইব, আমরাও সেখানে এমন বৈঠক করার অনুমতি পাব কি না।’’
ওই গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক হাসনাত জামানের বক্তব্য, ‘‘মন্ত্রী একটি সাংবাদিক বৈঠক করার কথা জানিয়েছিলেন। তবে সেটি কীসের কর্মসূচি, তা আমার জানা ছিল না।’’ মঙ্গলকোটের বিডিও মুস্তাক আহমেদ জানান, ওই গ্রন্থাগারে কী হয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy