Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

দুই নেতার পোস্টে অস্বস্তি শাসক দলে

গলসির ভুড়ি অঞ্চলের উপপ্রধান সুবোধ ঘোষ ও মেমারির ১ ব্লক যুব সভাপতি তথা, প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় পোস্টদু’টি করার কথা স্বীকার করেছেন।

নিত্যানন্দবাবু ও সুবোধবাবুর পোস্ট। নিজস্ব চিত্র

নিত্যানন্দবাবু ও সুবোধবাবুর পোস্ট। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৯ ০১:১৩
Share: Save:

‘কাটমানি’র অভিযোগ তুলে একাধিক পোস্ট আগেই ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দুই তৃণমূল নেতার ‘ফেসবুক-পোস্ট’ আরও অস্বস্তি বাড়াল দলে।

গলসির ভুড়ি অঞ্চলের উপপ্রধান সুবোধ ঘোষ ও মেমারির ১ ব্লক যুব সভাপতি তথা, প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় পোস্টদু’টি করার কথা স্বীকার করেছেন। সুবোধবাবুর দাবি, “বিভিন্ন গ্রামে কাটমানি নিয়ে যাঁরা সরব হয়েছেন, তাঁরাই আসলে ওই কাণ্ডের হোতা। তাঁদের চিহ্নিত করে দল থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এখন বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সাধু সাজছেন তাঁরা।’’ নিত্যানন্দবাবুর দাবি, কর্মীদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, “আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই। ও সব আমি করি না। কাজেই কে, কী লিখেছে, আমি দেখিনি।’’

সুবোধবাবুর ফেসবুক পোস্টে লেখা রয়েছে, ‘আমার অঞ্চলে যে সমস্ত ভন্ড সুপারভাইজার, ভন্ড কর্মীরা বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি করার চেষ্টা করেছিল, যাদের কাটমানি খাওয়ার প্রচেষ্টায় আমি জল ঢেলে দিয়েছিলাম, তারাই আজ কাটমানি ফেরত চাইছে। বিডিও অফিসে ডেপুটেশন, পঞ্চায়েতে ডেপুটেশনের কথা বলছেন। ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছে। আর যারা আসল খবর জানেন না, সেই রকম কিছু যুবক ছেলে ওদের কথায় প্ররোচিত হচ্ছে’। ওই নেতার দাবি, খণ্ডঘোষের শশঙ্গা পঞ্চায়েতের গৈতানপুরে বৃহস্পতিবার রাতে ১০০ দিনের কাজে দু’জন সুপারভাইজারের বাড়ির দেওয়ালে পোস্টার পড়ে। লেখা ছিল, ‘কাটমানির টাকা ফেরত দিতে হবে, না হলে খুন হতে হবে’। পুলিশ রাতে গিয়েই পোস্টার দু’টি ছিঁড়ে দেয়। তবে থানায় কোনও অভিযোগ হয়নি। কাটমানি চেয়ে যাঁরা মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন, তাঁরা কী রকম মানুষ তা চেনানোর জন্যই ওই পোস্ট করেছেন বলে তাঁর দাবি।

ওই এলাকার বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজন মণ্ডলের কটাক্ষ, “এতো ঠাকুর ঘরে কে? আমি তো কলা খাইনি। নিজেকে বাঁচানোর জন্যে আগাম অন্যের নামে দোষ চাপিয়ে রাখছেন তৃণমূল নেতা।”

নিত্যানন্দবাবুর পোস্টের বক্তব্য, ‘সবাই এই সুযোগে অত্যাচার করছে। কিন্তু তাদের লড়াই, ত্যাগ সবাই ভুলে যাচ্ছে। দল করতে গিয়ে পরিবার, চাকরি সব শেষ হয়ে গিয়েছে। গ্রামের সৈনিকরা সুখে নেই’। ওই নেতার ব্যাখা, “দলের জন্যে যে কর্মীরা প্রাণপাত করছেন, তাঁরা মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসছেন। ভয়ে কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। এই মূহুর্তে সবাই তাঁদের ভুলে যেতে চাইছেন।’’ ওই পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, ‘দলের নেতারা আজ কোটি কোটি পতি। কেউ কিছু বলতে গেলেই গাঁজার কেসের ভয় দেখিয়েছে...’। তবে তিনি কাদের বুঝিয়েছেন প্রশ্ন করা হলে উত্তর দেননি নিত্যানন্দবাবু। শুধু বলেন, ‘‘যা বোঝার ওখান থেকেই বুঝে নিন।’’ বিজেপির দাবি, নিজেকে বাঁচাতেই পোস্ট করা হয়েছে।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

অন্য বিষয়গুলি:

Bribe TMC West Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy