প্রতিদিন পানাগড় বাজারে এমনই দৃশ্য দেখা যায় বলে অভিযোগ। এর জেরে বাড়ছে যানজটও। নিজস্ব চিত্র
শহর থেকে গ্রাম, প্রায় প্রতিটি জায়গাতেই বর্তমানে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে টোটো। প্রতিটি এলাকাতেই বাড়ছে টোটোর সংখ্যা। ব্যতিক্রম নয় কাঁকসার পানাগড় বাজার এলাকাও। কিন্তু পানাগড় বাজারের অন্যতম সমস্যা হল টোটোর কোনও নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড না থাকা। ফলে, যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা নিত্যদিনের ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে, অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। যার জেরে যানজট হচ্ছে বলে জানান তাঁরা। পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের তরফে সমস্যাটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
কাঁকসার মূল বাণিজ্যকেন্দ্র পানাগড় বাজার। এখানে এক দিকে রয়েছে বিভিন্ন সামগ্রীর দোকান। তেমনি রয়েছে পুরনো গাড়ির যন্ত্রাংশ কেনাবেচার দোকানও। পানাগড় বাইপাস তৈরি হওয়ার আগে, এই বাজারের মধ্যে দিয়েই চলে গিয়েছিল জাতীয় সড়ক। বাসিন্দারা জানান, তখন যানজট ছিল আতঙ্কের। এখন সেই তা থেকে মুক্তি মিলেছে। বেশির ভাগ যানবাহন এখন যাতায়াত করে পানাগড় বাইপাস হয়ে। এক মাত্র বাসগুলি পুরনো জাতীয় সড়ক দিয়ে যায়। আগের মতো খুব বেশি যানজট হয় না। তবুও সমস্যা তৈরি করছে অনিয়ন্ত্রিত টোটোর যাতায়াত।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁকসা এলাকায় সরকারি হিসাব অনুযায়ী টোটোর সংখ্যা প্রায় এক হাজার। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পানাগড় বাজার এলাকাতেই প্রায় এক হাজার টোটো চলাচল করে। বাসিন্দারা জানান, দিনের বেলায় বাজার এলাকায় মানুষের ভিড় অনেকটাই বেশি থাকে। বাসের আনাগোনাও বেশি থাকে। তার উপরে টোটোর এই অনিয়ন্ত্রিত যাতায়াতের কারণে অফিসের সময় ও বিকালের দিকে যানজট হয়। বিশেষ করে পানাগড় স্টেশন রোডে। এই রাস্তার দু’ধারে রয়েছে বহু দোকান। অভিযোগ, সেই সব দোকানের একাংশ সামগ্রী রাখা থাকছে রাস্তার উপরেই। ফলে, সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে রাস্তা। সব মিলিয়ে সমস্যা আরও বেড়েছে। পানাগড়ের বাসিন্দা তরুণ ঘোষ, সন্দীপ কোনাররা বলেন, “এমনিতেই রেলগেটের কারণে স্টেশন রোডে যানজট হয়। এই রাস্তায় টোটোর চালচল নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।” স্থানীয়দের আরও দাবি, টোটোগুলি রাস্তার যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে পড়ায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকে যায়। বাসুদেব আঁকুড়ে নামে এক টোটোচালকও মনে করেন, পানাগড়ে একটি নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডের প্রয়োজন রয়েছে। স্ট্যান্ড করা হলে, যাঁরা বৈধ টোটোচালক তাঁরাই সেখানে স্থান পাবেন। ফলে, সমস্যা অনেকটাই কমবে।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সমীর বিশ্বাস বলেন, “আমরা এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করব। প্রয়োজনে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনাও করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy