চতুর্থ দফায় পড়েছে ‘লকডাউন’, তবু সামাজিক দূরত্ব বিধি, মাস্ক অধরাই। সোমবার কাটোয়ার শাঁখাই ফেরিঘাটে। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়
চতুর্থ দফার ‘লকডাউন’ শুরু। আক্রান্তও বাড়ছে প্রতিদিন। তার মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে গাদাগাদি করে যাত্রা পারাপার করতে দেখা গেল কাটোয়ার শাঁখাই ফেরিঘাটে। সোমবার ওই ভিড়ে বয়স্ক লোকজনের সঙ্গে শিশু কোলে মহিলাদেরও দেখা যায়। ভিন্ রাজ্য থেকে আসা কয়েকজনও সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গেই নদী পারাপার করেন বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে করোনা-সংক্রমণ এক ধাক্কায় বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘লকডাউন’ শিথিল হতেই কাটোয়া শহরের দোকানপাটে ভিড় আগের থেকে বেড়েছে। বাজারেও ক্রেতা, বিক্রেতাদের বেশির ভাগই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না বলে অভিযোগ। তবে, ফেরিঘাটগুলিতে পুলিশের নজরদারি থাকায় বেনিয়ম দেখা যায়নি আগে।
এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ বল্লভপাড়া, মাটিয়ারি ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, পুলিশি স্বাস্থ্যবিধি মেনেই নদী পারাপার করাচ্ছে। অথচ, সম্পূর্ণ বিপরীত ছবি শাঁখাই ফেরিঘাটে। সেখানে নৌকায় ওঠার জন্য বহু মানুষকে গাছের ছায়ায় গাদাগাদি করে বসে থাকতে দেখা যায়। নৌকায় ওঠার মুখেও ছিল ‘ধাক্কাধাক্কি’। যাত্রীদের অনেকে জানান, তাঁরা চিকিৎসার প্রয়োজনে কাটোয়া গিয়েছিলেন। আবার হায়দরাবাদ থেকে ফেরা জনা কয়েক যুবককেও ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। দুই সিভিক ভলান্টিয়ার ঘাটে থাকলেও তাঁরা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছিলেন না বলে দাবি যাত্রীদের।
কেতুগ্রামের নলিয়াপুর দত্তবাটি গ্রামের মহিলা শ্রাবন্তী ঘোষের দাবি, ‘‘আমরা বাধ্য হয়ে অসুস্থ এক আত্মীয়কে কাটোয়া শহরের এক চিকিৎসকের চেম্বারে দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলাম। ‘লকডাউন’ চলাকালীন আগেও দু’বার গিয়েছি। প্রতিবারই ফেরিঘাটে এসে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে দূরে দূরে দাঁড়িয়ে পারাপার করানো হত। আজ মনে হল লকডাউন আর নেই।’’ তাঁর ভয়, ‘‘শুনছি ভিন্ রাজ্যের লোকও পারাপার করছেন। তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়েছে কি না জানি না। সংক্রমণ ছড়াতে পারে। প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত।’’
কাটোয়ার মহকুমাশাসক প্রশান্তরাজ শুক্ল বলেন, ‘‘ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। শুধুমাত্র রোগী ও জরুরী ক্ষেত্রে অল্প সংখ্যায় যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দু’-একটি নৌকা চলে। ভিড় করা যাবে না। এমন যাতে ফের না হয়, তার ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy