দুই পড়শির ঝামেলা! তাঁদের ধাক্কাধাক্কিতে প্রাণ গেল ৮৫ বছরের বৃদ্ধের। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের ঘটনা। মৃতের নাম নানু দাস। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারা দেহ উদ্ধার করতে গেলে মৃতের পরিবারের লোকজন বাধা দেন। বেশ কিছু ক্ষণ পরে পুলিশ স্থানীয়দের বুঝিয়েসুঝিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। যদিও এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশ আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইট্ট্যা গ্রামের দাসপাড়ার বাসিন্দা নানু দাসের দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে। ছেলে-মেয়েদের অনেক আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। নানু এবং তাঁর স্ত্রী বুলিদেবী যে বাড়িতে থাকেন, তার পাশে দু’টি বাড়িতে ছেলে সুকুমার এবং নবকুমার নিজের পরিবার নিয়ে থাকেন। প্রতিবেশী বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে বিবাদ ছিল মৃতের বড় ছেলে সুকুমারের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বজিৎ তাঁর বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করছিলেন। কিন্তু রাস্তার ধারে খুঁটি থেকে বাড়িতে বিদ্যুৎবাহী তার নিতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়েন বিশ্বজিৎ। বাধা দেন সুকুমার। বিদ্যুতের তার কোথা দিয়ে যাবে, এই নিয়ে কয়েক মাস ধরে দুই প্রতিবেশী পরিবারের মধ্যে টানাপড়েন চলছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিশ্বজিৎ এবং তাঁর শ্বশুর সুফল দাস কয়েক জনকে সঙ্গে নিয়ে সুকুমারের বাড়িতে যান। তারা হুমকি দেন বলে অভিযোগ। সে সময় সুকুমার বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী মিঠু দাসের অভিযোগ, বিশ্বজিৎ তাঁদের হুমকি দেন। তাঁর কথায়, ‘‘চিৎকার শুনে আমার শ্বশুরমশাই আসেন। তখন সুফল আমার শ্বশুরের বুকে ঘুষি মারেন। শ্বশুরমশাই পড়ে যান। আর উঠতে পারেননি।’’ এর পর থেকে বিশ্বজিৎ এবং সুফলের খোঁজ মেলেনি।