বিতর্ক: এই দোকান তৈরি নিয়েই আপত্তি। নিজস্ব চিত্র
গ্রামে ঢোকার মুখে মদের দোকান। কাছেই রয়েছে মন্দির। সবমিলিয়ে এলাকায় সমাজবিরোধীদের আসাযাওয়া বাড়ার আশঙ্কা করছেন কাটোয়ার মুস্থুলির বাসিন্দারা। ওই দোকান সরানোর আর্জি নিয়ে মহকুমাশাসকের দ্বারস্থও হন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের মুস্থুলী গ্রামের বাসিন্দা শ্রীমন্ত মণ্ডলের মদের দোকান ছিল এসটিকেকে রোডের ধারে পাঁচঘড়া মোড়ে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট জাতীয় বা রাজ্য সড়কের ৫০০ মিটারের মধ্যে মদের দোকান বন্ধের নিষেধাজ্ঞা জারি করায় দোকান সরিয়ে নেন তিনি। নতুন দোকান নির্মাণ করছেন মুস্থুলী উত্তরপাড়ায় নিজের বাড়ি লাগোয়া এলাকায়। কিন্তু তিনশো মিটারের মধ্যে কালীমন্দির থাকায় আপত্তি তুলেছেন বাসিন্দারা।
স্থানীয় বিষ্ণুপদ মণ্ডল, বিপদভঞ্জন মুখোপাধ্যায়দের অভিযোগ, মুস্থুলী লাগোয়া ঘোড়ানাশ, পাঁচবেড়িয়া, আমডাঙা গ্রামের প্রায় ১৩ হাজার বাসিন্দা ওই মন্দিরে আসাযাওয়া করেন। কাছে নারায়ণ মন্দিরও রয়েছে। তার সঙ্গে বসতি এলাকায় মদের দোকান হলে সমাজবিরোধীদের আড্ডা বাড়বে বলেও তাঁদের আশঙ্কা। সন্ধ্যার পরে ওই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা মুশকিল হবে বলেও তাঁদের আশঙ্কা। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে বলেও দাবি রূপালী মুখোপাধ্যায়, মানব মণ্ডলদের।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে শ্রীমন্তবাবু বলেন, ‘‘আমার দোকান নির্মীয়মান ওই মন্দির থেকে ১০৯২ ফুট দূরে। প্রশাসনিক বাধা পাইনি তাই কাজ করছি।’’ ডেপুটি এক্সাইজ কালেক্টর সিদ্ধার্থশঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘আবগারি দফতরের নির্দেশিকা অনুসারে মন্দির বা মসজিদ থেকে ১০০০ মিটার দূরে মদের দোকান করা যায়। তদন্ত করে দেখছি ওই দোকানের সীমানা থেকে মন্দির ১০৮৬ ফুট দূরে। তাই বাধা নেই’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy