নানা স্বাদে। নিজস্ব চিত্র
রসে ভরা ছানার গোল্লা। মুখে দিলেই রসে ভরে উঠবে মুখ। একটু এ দিক-ও দিক হলে রস গলায় আটকে কেলেঙ্কারিও হয়ে যেতে পারে। আপামর মিষ্টিপ্রিয় মানুষজনের পছন্দের রসগোল্লায় এ বার মিলবে কাঁচালঙ্কার স্বাদও।
প্রতি উৎসবেই নতুন মিষ্টি খোঁজেন ক্রেতারা। রসগোল্লাতেও চকোলেট থেকে তুলসি পাতার স্বাদ-গন্ধ মিশিয়েছেন অনেক মিষ্টি বিক্রেতা। কালনা শহরের ছোট দেউড়িপাড়া বাজারের উল্টো দিকের এই দোকান পুজোয় আনছে রকমারি রসগোল্লা। লঙ্কা ছাড়াও ফুলকপি, গাজরের ছোঁয়া মিলবে নানা রসগোল্লায়, দাবি তাঁদের।
মিষ্টি ব্যবসায়ীদের দাবি, গত বছর করোনার কারণে মিষ্টির বরাত সে ভাবে মেলেনি। এ বারও সংক্রমণ রয়েছে, তবে নিয়ন্ত্রণে। ফলে বাজার ভাল হবে, আশা তাঁদের। ছোট দেউড়িপাড়ার ওই দোকানে ঢুঁ মেরে দেখা যায়, বিভিন্ন পাত্রে রসে ডুবে রয়েছে লঙ্কা, তুলসি, ক্যাডবেরি, গাজরের স্বাদের রসগোল্লা। তাঁদের দাবি, সবুজ রঙের লঙ্কা রসগোল্লার কদরই বেশি। প্রতিষ্ঠানের তরফে অরিন্দম দাস জানান, সাড়ে তিন কেজি ছানার সঙ্গে ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম ঝাল কাঁচা লঙ্কা মিশিয়ে রসগোল্লাটি তৈরি করা হচ্ছে। এতে কামড় দিলে মিষ্টির পাশাপাশি ঝালের স্বাদও মিলবে। কারিগরেরা জানান, ঝালের মাত্রা এমন রাখা হচ্ছে, যাতে আট থেকে আশি সবাই খেয়ে আনন্দ পান। লঙ্কা রসগোল্লা কিনতে অনেকে অনলাইনেও বুকিং করছেন, দাবি তাঁদের। চাহিদা রয়েছে তুলসি পাতার পুর দেওয়া রসগোল্লারও। ওই ব্যবসায়ীর দাবি, পুজোর আগে আরও কয়েক রকমের নতুন মিষ্টি তৈরি করছেন তাঁরা। কুমড়ো, খেজুর, আপেল, আনারস দিয়েও মিষ্টি বানানো হচ্ছে। দামও রাখা হয়েছে সাধ্যের মধ্যে।
চকবাজার এলাকার আর এক মিষ্টি ব্যবসায়ী রণজিৎ মোদকও বলেন, ‘‘উৎসবের আগে ক্ষীর এবং সন্দেশের তৈরি নানা মিষ্টি আনা হচ্ছে। কলাইয়ের ডালের বোঁদেরও চাহিদা রয়েছে।’’ নিভুজি মোড়ের মিষ্টি ব্যবসায়ী দেবরাজ বারুইয়ের আবার দাবি, চিনির ভাগ কমিয়ে বিভিন্ন মিষ্টি এবং দই তৈরি করছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy