প্রতীকী ছবি।
প্রায় এক বছর ধরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের থ্যালাসেমিয়া নির্ণয় কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। যন্ত্র খারাপ থাকায় পরিষেবা মিলছে না বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। তার জেরে প্রতিদিন প্রসূতি-সহ অনেকে ফিরে যাচ্ছেন। গুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালে বছরখানেক ধরে এই পরিষেবা বন্ধ থাকায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে রোগীদের মধ্যে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, নতুন যন্ত্র আনার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তদ্বির করা হচ্ছে।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের ১২৮ নম্বর রুমে রয়েছে এই থ্যালাসেমিয়া নির্ণয়ের ঘর। প্রসূতিদের থ্যালাসেমিয়া নির্ণয় জরুরি হয়। এ ছাড়া, নানা সমস্যা নিয়ে হাসপাতালের বহির্বিভাগে আসা অনেক রোগীর থ্যালাসেমিয়ার পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু এই পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত ঘরে ঝুলছে তালা। ফলে, ফিরে যেতে হয় রোগীদের। রোগী ও তাঁদের পরিজনদের একাংশের অভিযোগ, কেন কেন্দ্রটি বন্ধ, সে বিষয়ে জানাতে চাওয়া হলে ওই বিভাগে থাকা নার্সিং কর্মীদের কেউ-কেউ দুর্ব্যবহারও করছেন।
বর্ধমানে এই হাসপাতাল ছাড়া, অন্যত্র সরকারি ভাবে থ্যালাসেমিয়া নির্ণয়ের ব্যবস্থা না থাকায় অনেকে প্রসূতির থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা ছাড়াই প্রসব হচ্ছে বলেও দাবি পরিজনদের। মঙ্গলকোটের বাসিন্দা মর্জিনা বিবির কথায়, ‘‘ডাক্তার আমার মেয়ের থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করতে বলেছিলেন। কিন্তু পরীক্ষার ঘরই বন্ধ। বাইরে কোথায় এই পরীক্ষা হয়, তা হাসপাতালের কেউ জানাতে পারেননি। তাই পরীক্ষা করাতেই পারিনি।’’ বর্ধমান শহরের বনমসজিদতলার বাসিন্দা লতা রাজবংশীর অভিযোগ, ‘‘আমরা দু’দিন পরীক্ষা করাতে গিয়ে ফিরে এসেছি।’’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে থ্যালাসেমিয়া নির্ণয়ের যন্ত্রটি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। তার পরে বিষয়টি উপরমহলে জানানো হলেও এখনও কোনও সুরাহা হয়নি। হাসপাতালের সুপার প্রবীর সেনগুপ্তের আশ্বাস, বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy