প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে ডিমের ঘাটতি পূরণে মুরগি পালন বা পোলট্রির জন্য বিশেষ উৎসাহ প্রকল্প (‘ইনসেনটিভ স্কিম’) রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে প্রায় বছর তিনেক আগে। কিন্তু পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এই প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে একটিও ফার্ম তৈরি হয়নি বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি দুর্গাপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে বণিকসভার প্রতিনিধিদের পোলট্রি ফার্ম তৈরির জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১.৭ কোটি ডিম উৎপন্ন হয়। কিন্তু চাহিদা প্রায় ২.৬ কোটির। চাহিদা মেটাতে ভিন্-রাজ্য থেকে ডিম আমদানি করতে হয়। এই ঘাটতি পূরণে শিল্পোদ্যোগীরা এগিয়ে আসুন, সেটাই চাইছে রাজ্য সরকার।
সেই মতো ঘোষণা করা হয় ‘উৎসাহ প্রকল্প’। এই প্রকল্পে ফার্ম তৈরি করলে বিদ্যুতের বিল এবং জমি রেজিস্ট্রেশন বাবদ খরচের একটি বড় অংশ লগ্নিকারীরা ভর্তুকি পাবেন। একটি ফার্ম এককালীন আট লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি পেতে পারে। ফলে, ফার্ম তৈরি হলে ডিমের চাহিদা মেটার পাশাপাশি, কর্মসংস্থানও হবে। ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া-সহ কিছু জেলায় এই প্রকল্পে ফার্ম বানানো হয়েছে। কিন্তু পশ্চিম বর্ধমানে তা হয়নি।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের বহু বাড়িতে পোষা হাঁস, মুরগিরা দিনে ৫-১০টি করে ডিম দেয়। বাণিজ্যিক ভাবে ডিম উৎপাদনের জন্য কুলটির নিয়ামতপুরে ফার্ম আছে। দিনে গড়ে ১৪-১৫ হাজার ডিম উৎপাদিত হয় সেখানে। এ ছাড়া, দুর্গাপুরের হেতেডোবার ফার্ম থেকে রয়েছে। সেখান থেকে দিনে গড়ে ৮০-৮৫ হাজার ডিম উৎপাদিত হয়। জেলায় এমন আরও তিন-চারটি ফার্ম রয়েছে। তবে বিশেষ উৎসাহ প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে কোনও বড় ফার্ম জেলায় নেই।
এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিততে দফতরের সচিবকে প্রকল্পের খুঁটিনাটি জানানোর নির্দেশ দেন মমতা। তার পরে বণিকসভার প্রতিনিধিদের বলেন, ‘‘আগে পোলট্রি ফার্ম খুলুন। তার পরে আপনাদের সব কথা শুনব।’’ বণিকসভার প্রতিনিধি রাজেশ খেতান, দিলীপ দেওঘরিয়া, নরেশ আগরওয়ালেরা এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ওয়ার্কশপ’ আয়োজনের আর্জি জানান। মুখ্যমন্ত্রী জেলা প্রাণিসম্পদ আধিকারিক তপনকুমার রায়কে দ্রুত সে বিষয়ে নির্দেশ দেন।
তপনবাবু জানান, বৈঠক থেকে ফিরেই তিনি দফতরের মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিম বর্ধমান জেলায় বিশেষ উৎসাহ প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে একটিও ফার্ম এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি। মুখ্যমন্ত্রী তাই প্রশাসনিক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে খুব জোর দিয়েছেন। বিভাগীয় মন্ত্রীর সময় পেলেই দ্রুত ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy