আস্থা ভোটে জিতে সিপিএমের হাত থেকে আগেই পঞ্চায়েত সমিতির দখল নিয়েছিল তৃণমূল। মঙ্গলবার কাটোয়া ১ পঞ্চায়েত সমিতির নতুন সভাপতি হলেন খাজুরডিহি পঞ্চায়েতের কণিকা বাইন সরকার। আপাতত সিপিএমের হাতে রইল ১০টি আসন। আর ১৬ সদস্য নিয়ে কাজ শুরু করল তৃণমূল।
গত পঞ্চায়েত ভোটের পর এই পঞ্চায়েত সমিতিতে কংগ্রেসের ৬টি, তৃণমূলের ১টি ও সিপিএমের ১৯টি আসন ছিল। ২০১৫ সালে কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে এখানেও অনেকে দলবদল করেন। তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় সাত ও সিপিএমের ১৭। একাইহাটের বাসিন্দা বছর তিরিশের কণিকাদেবীও সেই সময়েই কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেন। মাসখানেক আগে ফের তেরো জন সিপিএম সদস্য মহকুমাশাসকের কছে ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মাধবী অধিকারীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। ৫ নভেম্বর জেলার পর্যবেক্ষক অরুপ বিশ্বাসের হাত ধরে পাঁচ জন সিপিএম কর্মী ও তার পরেরদিন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে আরও তিন জন সিপিএম সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। সপ্তাহ তিনেক আগে ভোটাভুটির দিন ফজলুর রহমান নামে ২০ নম্বর সংসদের এক সদস্য দেরিতে আসায় ভোটে অংশ নিতে না পারলেও পরে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। ২৬টি আসনের মধ্যে ১৫টি আসন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে তৃণমূল। এ দিন সভাপতি নির্বাচনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু। তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘ চল্লিশ বছর পরে এই পঞ্চায়েত সমিতি আমাদের হাতে এল। সিপিএমের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষনের যে অভিযোগ ছিল তা খতিয়ে দেখব।’’ বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘গীতাঞ্জলী প্রকল্পে অনেক গরিব মানুষ ঘর পাননি। তার বদলে সিপিএম সমর্থকরা একের বেশি ঘর পেয়েছেন। এই দুর্নীতি বন্ধ করে এ বার উন্নয়ন হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy