কুলটির লালবাজারে। নিজস্ব চিত্র
তিন দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পরে শনিবার লালবাজার থেকে গৌদি কেওট (৫৭) নামে এক প্রৌঢ়ার পচাগলা দেহ উদ্ধার করল কুলটি থানার পুলিশ। দুপুর সওয়া ১২টায় দেহটি উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়না-তদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। পরিবার খুনের মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, লালবাজারের একেবারে শেষ প্রান্তে জঙ্গল ঘেরা পরিত্যক্ত একটি জায়গা থেকে দুর্গন্ধ পান এলাকাবাসীর একাংশ। সেখানেই তাঁরা দেখেন, বিবস্ত্র অবস্থায় দেহটি পড়ে রয়েছে। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। নিখোঁজ মহিলার পরিবারের লোকজনেরাও সেখানে এসে দেহটি শনাক্ত করেন।
মহিলার ছোট ছেলে বীরেন্দ্র কেওট পুলিশকে জানান, তাঁদের ১৮টি ছাগল আছে। তাঁর মা সেগুলির দেখাশোনা করতেন। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ সেগুলি বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে লালবাজারের শেষ প্রান্তে একটি মাঠে চরানোর জন্য নিয়ে যেতেন। দুপুরে বাড়ি ফিরে খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে ফের বেরোতেন। ফিরতেন, বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ। গত বৃহস্পতিবারও গৌদিদেবী পশুপালনের জন্য বেরিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। তবে ১৬টি ছাগল বাড়ি ফিরে আসে। এই ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে তাঁদের কিছুটা খটকা লেগেছিল বলে পুলিশকে জানান বীরেন্দ্রবাবু। তবে বিশেষ আমল দেননি। কিন্তু সন্ধ্যার পরেও মা ফিরে না আসায় পড়শিদের সঙ্গে নিয়ে বীরেন্দ্রবাবু খোঁজখবর করেন। গৌদিদেবীর সন্ধান না পেয়ে বৃহস্পতিবার কুলটি থানায় বিষয়টি মৌখিক ভাবে জানায় পরিবার। শুক্রবার দুপুরে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
কেন এই ঘটনা? বীরেন্দ্রবাবু পুলিশের কাছে তাঁর অনুমানের কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘মনে হয়, চোরের দল ছাগল চুরি করার সময়ে মা বাধা দেন। তার পরেই মাকে খুন করে জঙ্গলে লুকিয়ে চম্পট দেয় চোরেরা।’’
এ দিকে, স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরিবারটি এলাকায় অত্যন্ত নির্বিবাদী বলে পরিচিত। গৌদিদেবীর স্বামী দামাগড়িয়া কোলিয়ারির শ্রমিক ছিলেন। আট মাস আগে অসুস্থ হয়ে মারা যান। এলাকাবাসী ‘খুনে’র ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy