ওয়েস্টকেন্দায় পরিত্যক্ত খোলামুখ খনি এলাকায় বেরোচ্ছে ধোঁয়া। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ
পরিত্যক্ত খোলামুখ খনি এলাকার তিন জায়গা থেকে মাটি ফুঁড়ে ধোঁয়া ও আগুন বেরোল জামুড়িয়ার ওয়েস্টকেন্দায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ইসিএলের নিউকেন্দা কোলিয়ারির ওই পরিত্যক্ত খনিতে এই ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয় আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে এই পরিত্যক্ত খনির একাধিক জায়গায় আগুন ও ধোঁয়া বেরোয়। তার জেরে খোলামুখ খনির অদূরে নিউকেন্দা কোলিয়ারির পরিত্যক্ত ২ ও ৩ নম্বর ভূগর্ভস্থ খনির পাশে ভুঁইয়াপাড়া, বাদ্যকরপাড়াতেও মাটি ফুঁড়ে আগুন বেরোয় ও একাংশে ধস নামে। ধসের জেরে বাসিন্দাদের সাত দিন অস্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে প্রশাসন। এর পরে ২০১৮-র অগস্টে ফের এলাকায় একই রকম ঘটনা ঘটে। প্রতি বারই ইসিএল মাটি ভরাট করে।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকে প্রায় একই জায়গা থেকে গলগল করে আগুন ও ধোঁয়া বেরোচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা বল্লি পাসোয়ান, হরেরাম পাসোয়ান, ভোলা কেশরীদের অভিযোগ, এর জেরে প্রায় তিনশো মিটার দূরেও মানুষজনের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। বাসিন্দাদের দাবি, এই খোলামুখ খনির অদূরে ভূগর্ভস্থ ৮ নম্বর খনি ১৯৯৬ সালে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেখানে ডুলি ওঠানামার করার মুখ সংস্থা বন্ধ করে দিয়েছিল। এই পরিত্যক্ত ভূগর্ভস্থ ও খোলামুখ খনির কয়লাস্তর পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত। অভিযোগ, ভূগর্ভস্থ খনির বন্ধ করে দেওয়া মুখ থেকে লোহাচোরেরা সম্প্রতি লোহা কেটে নিয়ে গিয়েছে। ওই মুখ দিয়ে হাওয়া ঢুকে গিয়েছে। তা পরিত্যক্ত খোলামুখ খনির কয়লাস্তরে পৌছতেই বিপত্তি বেধেছে। বাসিন্দাদের দাবি, ইসিএল নিরাপত্তা ব্যবস্থা মজবুত করুক, যাতে এ ভাবে দুষ্কৃতীরা বন্ধ মুখ খুলতে না পারে।
ইসিএল কর্তৃপক্ষ জানান, ভূগর্ভস্থ খনির মুখ আবার বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে পরিত্যক্ত খোলামুখ খনিতে ভরাট করা ছিদ্রগুলিতে জলের সঙ্গে অতিরিক্ত অক্সিজেন ঢুকে তা তপ্ত কয়লাস্তরে পৌঁছতেই আগুন ও ধোঁয়া বেরোচ্ছে বলে আধিকারিকদের অনুমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy