Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Student Death in Kalna

‘আমার মেয়ে ধাত্রীগ্রামের টপার ছিল, প্রস্তুতি নিচ্ছিল নিটেরও’! মেয়ের অকালমৃত্যুর পর বললেন মা

শুক্রবার সন্ধ্যায় পূর্ব বর্ধমানের কালনায় প্রাইভেট টিউশন নিয়ে ফেরার সময় রাস্তায় বেরিয়ে মাকে ফোন করে ছাত্রীটি। ফোনে ছাত্রীর শেষ কথা ছিল ‘‘ওরা আমায় বাঁচতে দেবে না।’’

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। প্রতীকী ছবি।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৩৩
Share: Save:

তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করতেই পারেন না। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পূর্ব বর্ধমানের কালনায় মৃত ছাত্রীর পরিবারের। শুক্রবার সন্ধ্যায় দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয় কালনা স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে রেললাইনের ধারে। পরিবারের দাবি, বাড়িতে ফোন করে সে বলেছিল, ‘‘ওরা আমাকে বাঁচতে দেবে না।’’ তার কিছু ক্ষণ পরেই দেহ উদ্ধার হয় ছাত্রীর। আর এই মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য বাড়ছে। পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে।

ছাত্রীর মা বলেন, ‘‘ও খুব ভাল মেয়ে ছিল। দেড় বছর আগে ওর বাবার সঙ্গে বড় দুর্ঘটনায় পড়ে। দীর্ঘ দিন ট্রমা কেয়ারে থাকতে হয় মেয়েকে। কিছু দিন আগে পায়ের প্লেট বার করতে হয়। সেই অবস্থা থেকেও বেরিয়ে এসে নিজের জায়গা তৈরি করছিল। নিটের প্রস্তুতিও নিচ্ছিল।’’ তাঁর কথায়, ‘‘লেখাপড়ায় ভাল ছিল মেয়ে। সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল। শুধু তা-ই নয়, ধাত্রীগ্রামের টপার ছিল ও।’’

তবে এই ঘটনার জন্য কাউকে সন্দেহের তালিকায় রাখছেন না বলেও জানিয়েছেন ছাত্রীর মা। কারও সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল বলেও কোনও দিন শোনেননি বলেও দাবি তাঁর। এর পরই তাঁর প্রশ্ন, ‘‘মেয়ে এত দূরে গেল কী করে? কেউ তুলে নিয়েও যেতে পারে।’’ অন্য দিকে, মৃতার দিদি জানিয়েছেন, তাঁর বোন ফাইটার ছিল। এ রকম হতে পারে, বিশ্বাসই হচ্ছে না তাঁর। ছাত্রীর কাকার দাবি, ‘‘এটা খুন। আত্মহত্যা হতে পারে না।’’ মৃত্যুর আগেও তাঁদের মেয়ে স্বাভাবিক ছিল। স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজেও তাকে স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। কালনা জিআরপির ওসি রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রাইভেট টিউশন নিয়ে ফেরার সময় রাস্তায় বেরিয়ে মাকে ফোন করে ছাত্রীটি। ফোনে ছাত্রীর শেষ কথা ছিল ‘‘ওরা আমায় বাঁচতে দেবে না।’’ তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই কালনার জিউধারা রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় লাইনের ধার থেকে ওই ছাত্রীর ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার হয়। প্রতি দিনই মায়ের সঙ্গে কালনা শহরে ইংরেজির এক শিক্ষকের কাছে টিউশন নিতে যেতেন ওই ছাত্রী। শুক্রবারও সন্ধ্যাতেও পড়তে গিয়েছিলেন তিনি। অন্য দিনের তুলনায় শুক্রবার কিছুটা আগেই ছুটি দিয়ে দেন শিক্ষক।

অন্য বিষয়গুলি:

Student Death Kalna
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy