প্রতীকী ছবি
করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি তথা রাজ্য তৃণমূলের সমন্বয় কমিটির সদস্য দেবু টুডু। রবিবার তিনি দাবি করেছেন, “আমার নিরাপত্তারক্ষীর করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট আসার পর থেকেই নিভৃতবাসে ছিলাম। আমার সংস্পর্শে কেউ আসেনি।’’ অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) প্রবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “জেলাশাসকের নির্দেশে বর্ধমান শহরে লকডাউন চলায় দফতর কয়েক দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। সে জন্য ওঁর সংস্পর্শে আসার কোনও ব্যাপার নেই।’’ তবে আজ, সোমবার জেলা পরিষধের কর্মাধ্যক্ষ ও কয়েকজন কর্মীর কোভিড পরীক্ষা করানো হবে। বর্ধমান শহরের আরও এক বৃদ্ধের করোনায় মৃত্যু হয়েছে এ দিন। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৭ জন।
গত পাঁচ দিন ধরে জেলা সদর শহর বর্ধমানে ‘লকডাউন’ চলছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে রবিবার থেকে কাটোয়া, কালনা, মেমারি শহর ও সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতেও শুরু হল ‘লকডাউন’। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়ম ভাঙায় এ দিন ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের সপ্তাহে দু’দিন ‘লকডাউন’-এর মতো কড়াকড়ি দেখা যায়নি।
এ দিন বেলা ১টার পরে পুলিশ শহর ঘুরে খোলা থাকা দোকান বন্ধ করে দেয়। টোটো নিয়ে রাস্তায় বেরনোর ‘অপরাধে’ পুলিশ কয়েকজন চালককে রাস্তায় কান ধরে ওঠবোস করায়। মেমারিতে জিটি রোড দিয়ে যাতায়াত করা বেশ কিছু ট্রাককে সকালের দিকে আটকেও দেয় পুলিশ। তবে কিছু মোটরবাইক, সাইকেল আরোহীদের রাস্তায় দেখা যায়। সাতগেছিয়া বাজারের ব্যবসায়ীরা ‘লকডাউনে’ সাড়া দিয়েছেন। মেমারি থানার দাবি, শহর- গ্রাম, দু’টো জায়গাতেই মোড়ে মোড়ে সিভিক ভলান্টিয়ারেরা ছিলেন। রাস্তায় পুলিশের টহল ছিল। বর্ধমান শহর লাগোয়া সরাইটিকর, বেলকাশ ও রায়ান ১ পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকাও ফাঁকাই ছিল। তবে গলির ভিতর আড্ডা বা ‘মাস্ক’ না পরার প্রবণতা দেখা যায় অনেক জায়গাতেই। জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল হাসান বলেন, “তিন পঞ্চায়েতের তরফে সচেতনতা প্রচার করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy